দুর্ঘটনার সাড়ে ১১ঘন্টা পরে পিএস মাহসুদ উদ্ধার নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘন কুয়াশার কারণে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়ার চরে আটকে পড়া স্টিমার পিএস মাহসুদকে সাড়ে ১১ ঘণ্টা পরে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে ভাসান সম্ভব হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি টাগবোট সাহায্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্টিমারটিকে চর থেকে মূল চ্যানেলে নামানো হয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র টাগবোট দুর্বারের সাহায্যে জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজে থাকা বিদেশি দুই নাগরিকসহ ৭৩ জন যাত্রী বিকল্প ব্যবস্থায় নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হুলারহাট ও মোড়লগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা বাতিল করে স্টিমারটি বরিশাল ঘাটে রাখা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জাহাজটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মোরলগঞ্জের উদ্দেশে ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয় স্টিমারটি।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিক হারিয়ে কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়ায় চরে আটকে যায় স্টিমারটি।
জোয়ারের পানি বাড়লেও প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তারা চর থেকে স্টিমারটি নদীতে নামাতে পারেননি। পরে ভাটা শুরু হলে আবারও জোয়ারের অপেক্ষায় থাকেন তারা। দুপুর ২টার দিকে জোয়ার শুরু হলে স্টিমারটি নিজস্ব শক্তিতে নামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মাস্টার। পরে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
স্টিমারটি আটকে পড়ার পর বিদেশি দুই নাগরিকসহ হুলারহাট ও মোড়লগঞ্জের ৭৩ জন যাত্রী ছাড়া বরিশালের বাকী যাত্রীরা সকালে বিকল্প ব্যবস্থায় স্টিমার থেকে নেমে যান।
পরবর্তীতে হুলারহাট ও মোড়লগঞ্জগামী যাত্রীরাও দুপুরে নিজস্ব ব্যবস্থায় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক |