দরপত্র কিনতে ঠিকাদারদের বাঁধা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের ২০ লক্ষ টাকার কাজের দরপত্র ক্রয়ে সাধারণ ঠিকাদারদের বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৬ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে গণপূর্ত বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
পরে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থান ত্যাগ করে ওইসব নেতা-কর্মীরা।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, র্যাব-৮ বরিশাল সদর দপ্তরের রিজার্ভ ঘরের কাজের জন্য দুইটি গ্রুপে ২০ লক্ষ টাকার টেন্ডার আহবান করে গণপূর্ত বিভাগ। রবিবার ছিল দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, রবিবার দরপত্র ক্রয় করার শেষ দিনে আমরা বেশ কয়েকজন ঠিকাদার শিডিউল ক্রয় করতে গেলে যুবলীগ নামধারী নেতা ও গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির সভাপতি বাঘা মিয়ার ছেলে সোহেল ওরফে বাঘা সোহেল এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামধারী নেতা হেনডিসহ প্রায় ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের টেন্ডারবাজরা বাঁধা দেয়।
এ নিয়ে বাঘা সোহেল ও তার টেন্ডারবাজ বাহিনীর সাথে সাধারণ ঠিকাদারদের কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হলে টেন্ডারবাজ বাঘা বাহিনী তাদের লাঞ্ছিত ও তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।
এর কিছুক্ষন পর সেখানে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত ও এস রহমান সোহেল এবং সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজ সমর্থক বিএম কলেজ অবৈধ ছাত্র কর্ম পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক নূর আল আহাদ সাঈদী অবস্থান নেয়।
এসময় তাদের সঙ্গেও যুবলীগের টেন্ডারবাজ বাধা সোহেল এর কথা কাটিকাটি হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে র্যাব-৮ এবং পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত বলেন, আমি সিডিউল কিনতে গিয়েছিলাম। তবে বিশেষ একটি কারণে কেনা হয়নি।
বিএম কলেজ ছাত্র কর্ম পরিষদের সাহিত্য সম্পাদক নূর আল আহাদ সাঈদী বলেন, ব্যাক্তিগত কাজে গণপূর্ত বিভাগে এসছিলাম। তবে কোন ঝামেলা হয়নি।
বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গনী জানান, সাধারণ ঠিকাদারদের বাঁধার কোন অভিযোগ পাইনি। এছাড়া এখানে সার্বক্ষনিক র্যাব এবং পুলিশের উপস্থিতি ছিল। কার্যালয়ের বাইরে কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তা আমার জানা নেই।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |