শক্তির পরীক্ষায় ভারত-পাকিস্তান কোথায় দাঁড়িয়ে? ডেস্ক রিপোর্ট
উরিকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান কি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে? এখনই অতদূর ভাবতে নারাজ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
শক্তির ভারসাম্যে এখন কে কোথায় দাঁড়িয়ে, একবার দেখে নেওয়া যাক?
ভারতীয় সেনার জওয়ানের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার/ পাক বাহিনীতে জওয়ানের সংখ্যা ৬ লক্ষ ২০ হাজার
ভারতের রিজার্ভ সামরিক কর্মী ২১ লক্ষ ৪৩ হাজার/ পাকিস্তানের রিজার্ভ সামরিক কর্মী ৫ লক্ষ ১৫ হাজার
ভারতের ট্যাঙ্কের সংখ্যা ৬৪৬৪টি/ পাক ট্যাঙ্কের সংখ্যা ২৯২৪টি
ভারতের সাঁজোয়া গাড়ি ৬৭০৪ টি/ পাকিস্তানের সাঁজোয়া গাড়ি ২৮২৮ টি
ভারতের SPG-র সংখ্যা ২৯০/ পাকিস্তানের SPG-র সংখ্যা ৪৬৫
ভারতের কামানের সংখ্যা ৭৪১৪ টি/ পাকিস্তানের কামানের সংখ্যা ৩২৭৮ টি
ভারতের মাল্টিপল রকেট সিস্টেম ২৯২ টি/ পাকিস্তানের মাল্টিপল রকেট সিস্টেম১৩৪ টি
রাফায়েল বিমানের অন্তর্ভুক্তিতে আরও শক্তিশালী হবে ভারতীয় বিমানবাহিনী। ইতিমধ্যেই বায়ুশক্তিতে পাকিস্তানের থেকে বহুগুণ এগিয়ে ভারত।
ভারতীয় বায়ুসেনার মোট বিমান ২০৮৬টি/ পাক বায়ুসেনায় মোট বিমান ৯২৩ টি
ভারতের ফাইটার-ইন্টারসেপ্টর ৬৭৯ টি/ পাকিস্তানের ফাইটার-ইন্টারসেপ্টর ৩০৪ টি
ভারতের ফিক্সড উইন অ্যাটাকার ৮০৯ টি/ পাকিস্তানের ফিক্সড উইন অ্যাটাকার ২৬১ টি
ভারতের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ৩১৮ টি/ পাকিস্তানের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ১৭০ টি
ভারতের হেলিকপ্টার ৬৪৬ টি/ পাকিস্তানের হেলিকপ্টার ৩০৬ টি
ভারতের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১৯ টি/ পাকিস্তানের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫২ টি
নৌশক্তিতে ভারত পাকিস্তান:
ভারতের মোট নৌশক্তি ২৯৫ টি জাহাজ/ পাকিস্তানের মোট নৌশক্তি ১৯৭ টি জাহাজ
ভারতের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার ২ টি/ পাকিস্তানের এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার নেই
ভারতের হাতে ফ্রিগেট ১৪ টি/ পাকিস্তানের হাতের ফ্রিগেট নেই
ভারতের ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা ১০/ পাকিস্তানের ডেস্ট্রয়ার নেই
ভারতের করভেট এর সংখ্যা ২৬/ পাকিস্তানের করভেট নেই
ভারতের হাতে সাবমেরিন ১৪ টি/ পাকিস্তানের হাতে সাবমেরিন ৫টি
ভারতের উপকূলরক্ষী জাহাজ ১৩৫ টি/ পাকিস্তানের উপকূলরক্ষী জাহাজ ১২ টি
ভারতের মাইন ওয়ারফেয়ার ৬টি/ পাকিস্তানের মাইন ওয়ারফেয়ার ৩টি
তবে দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় সেনা, বায়ুসেনা কিংবা নৌসেনার তারতম্যে খুব বেশি গুরুত্ব নেই। বলছেন সামরিক বিশেজ্ঞরা।
অতীত যুদ্ধের ইতিহাস :
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৪৭: স্বাধীনতার বয়স তখন মাত্র দু-মাস। জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে পড়ল পাক মিলিশিয়া। কিছুদিন লড়াইয়ের পর অবস্থা কঠিন বুঝে রাজা হরি সিং ভারতের শরণাপন্ন হলেন। সই হল চুক্তি। এরপরই সম্মুখ সমরে নেমে পড়ে ভারতীয় এবং পাক সেনা। পরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপে ঘোষিত হয় যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতির সময় সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ভারতীয় সেনা। ১৯৪৯-এ রাষ্ট্রসঙ্ঘের যুদ্ধবিরতি রেখা, ১৯৭২-এ সিমলা চুক্তির পরনিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিণত হয়। কাশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড চলে যায় পাকিস্তানের কব্জায়।
ভারত-চিন যুদ্ধ, ১৯৬২: সীমান্ত নিয়ে বিবাদ তো ছিলই। তার ওপর দলাই লামাকে আশ্রয় প্রদান। বাষট্টিতে ভারত আক্রমণ করে চিন। লাদাখ, অরুণাচলে ঢুকে পড়ে লাল ফৌজ। পরে চিন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সেনা সরিয়ে নিলেও এই যুদ্ধের হতাশাজনক পরিণতির জন্য নেহরুর ফরোয়ার্ড পলিসিকে দায়ী করেন অনেক। বাষট্টির যুদ্ধে ধাক্কা খায় ভারতীয় সেনা। এক মাসের লড়াইয়ে আকসাই
চিনের দখল নেয় লাল ফৌজ।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৬৫: তখন ঠাণ্ডা যুদ্ধের আমল। কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় অপারেশন জিব্রাল্টারের পরিকল্পনা করে পাক সেনা। জবাবে পশ্চিম পাকিস্তানে হানা দেয় ভারতীয় বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় লড়াই। ভারতীয় ট্যাঙ্ক, গোলন্দাজ বাহিনীর আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয় পাক সেনা। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার হস্তক্ষেপে ঘোষিত হয় যুদ্ধবিরতি। তাসখন্দ চুক্তি সই করে ভারত-পাকিস্তান। যুদ্ধ বিরতির সময় পাক সেনার চেয়ে অনেক সুবিধাজনক জায়গায় ছিল ভারতীয় সেনা।
ভারত-চিন যুদ্ধ, ১৯৬৭: সিকিমের নাথু লা এবং চো লা-য় ঢুকে পড়ে চিনা সেনা। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে দশ দিনের মধ্যেই পলায়ন। সিকিম থেকে পিছু হঠে চিনা সেনা। পরে সিকিম ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। সিকিমকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বলে মেনে নেয় চিন।
কার্গিল যুদ্ধ, ১৯৯৯: জম্মু-কাশ্মীরের কার্গিলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে পাক সেনা। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ এই প্রথম জড়িয়ে পড়ে সীমিত যুদ্ধে। শুরু হয় অপারেশন বিজয়। ভারতীয় সেনার পরাক্রমে আবার নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফিরে যেতে বাধ্য হয় পাক সেনা। বিদেশি হানাদারদের হাত থেকে দখল-মুক্ত হয় কার্গিল। সূদ্র: ২৪ঘন্টা
|