‘ইলিশ এত হস্তা আর দেহি নাই’ কৃষ্ণ কর্মকার. বাউফল
কিছু দিন আগেও নিম্ম আয়ের মানুষের বাজারে গিয়ে ইলিশ মাছ কিনে খাওয়া ছিল অকল্পনীয়। বাজারে যেমন ছিল ইলিশের আমদানি ছিল কম, তেমনি ছিল দামও আকাশ চুম্বি, কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বাজার জুরে শুধু ইলিশ আর ইলিশ। বর্তমানে ইলিশের দাম এতই কম যে বিগত বছর গুলোতে তা দেখা যায়নি।
এমনটি বলছিলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি তরুন দত্ত, তার ভাষায় ’মোর জম্মে এত হস্তা ইলিশ আর দেহি নাই’!
তিনি শনিবার উপজেলার বানিজ্যিক বন্দর কালাইয়া মাছ বাজার থেকে ৮শ গ্রামের একটি মাছ কিনেছেন ২৬০ টাকায়। যা পনের দিন আগে ছিল হাজার টাকার উপড়ে। এ কথা শুধু ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি তরুন দত্তর না, উপজেলা জুরে নিম্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণি পেশার মানুষের।
জেলে অধ্যুষিত এলাকা তেুঁতুলিয়া নদী বেষ্টিত উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাদশা মাঝি, যিনি প্রায় অর্ধশত বছর ধরে সাগরে ইলিশ শিকার করে আসছেন, তার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাগড়ে যে পরিমান ইলিশ ধরা পরছে তা তিনি গত ৩০ বছরের দেখেননি।
মুনি আমাবশ্যার পড়ে যে পানির জোঁ ছিল তার পড় থেকেই এই ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পরছে। তবে তার মতে সরকার যদি নদী ও সাগড়ে অবৈধ জাল ফেলা থেকে অসাধু জেলেদের বিরত রাখতে পারেন, তাহলে প্রতি বছর ভরা মৌসুমে জেলেরা এ ভাবেই ঝাঁকে ঝাঁকে শিকার করবে রুপালী ইলিশ।
কালাইয়া বন্দর মৎস আড়তদার জুয়েল মাহমুদ বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জেলেরা এ বছর রেকর্ড পরিমান মাছ ধরছে। বিগত বছর গুলোতে ইলিশের আকাল থাকায় যে পরিমান লোকাশন গুনতে হয়েছে তা এবার তারা পুষিয়ে উঠবে।
এমনকি জেলেরা তাদের দির্ঘ দিনের দাদন পর্যন্ত পরিশোধ করিতেছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর যে পরিমান বড় সাইজের ইলিশ পাওয়াগেছে তা শুধু সরকারের উদ্যোগের কারনে। তবে সরকার যদি ঝাটকা রক্ষায় আরও কঠোর হয় তাহলে ইলিশ হবে রপ্তানী পণ্যের অন্যতম।
বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎসকর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঝাটকা রক্ষায় সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আমরা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের কারনে আজকে জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ শিকার করছে।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |