মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখমে মামলা, গ্রেপ্তার ২ ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, মঠবাড়িয়া
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. কাইউম হাওলাদার (৩৫) কে হত্যার উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
বড়মাছুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি গুরুতর আহত কাইয়ুম হাওলাদারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) সকালে আহতের ভাই আব্দুল হালিম বাদী হয়ে জুয়েল শেখকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামি মোঃ মামুন ফকির (৩৫) ও নয়ন হাওলাদার (২৭) কে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে।
মামলাসূত্রে জানাযায়, উপজেলার বড়মাছুয়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাইউম হাওলাদার গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করায় তার প্রতিপক্ষরা এর বিরোধীতা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় চলমান কাবিখা প্রকল্পের ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে কাইউম প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে কার্য সম্পাদন করছে। এতে প্রতিপক্ষরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কাইউমের কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সোমবার রাতে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একশ গজ দূরে মঠবাড়িয়া-বড়মাছুয়া সড়কে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে। পরে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের পর ২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো পড়ুন..
মঠবাড়িযায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে যখম
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |