ডাকাতির ঘটনায় বাউফলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট বাউফল প্রতিবেদক
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা সদরে বাউফল থানার কাছে কুন্ডু পট্টি এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় বীনা জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণালংকারের দোকানে গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতি হয়েছে।
এ সময় লুট করা হয়েছে প্রায় ৫৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। গুলি ও ককটেলের স্পিল্টিনটার দোকানের দুই কর্মচারী ও এক রিকশাচালক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বাউফল উপজেলা জুয়েলারি সমিতির উদ্যোগে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালন করেছে।
জুয়েলারি সমিতির বাউফল পৌরসভা শাখার সভাপতি লিটন কুমার সাহা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতি হয়েছে। দোকানে সচল সিসি ক্যামেরা থাকা সত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ডাকাত গ্রেপ্তার হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন,অল্প সময়ের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ওই ডাকাতির ঘটনায় দোকান মালিক সুশান্ত কুমার সাহা শনিবার রাতেই অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনের নামে বাউফল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেছেন।
এদিকে পুলিশ আজ সকালে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি কার্যালয়ের মধ্যে মসজিদের শৌচাগারের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ককটেল ও পাশের নাজিরপুর গ্রামের হাজী বাড়ির পশ্চিম পাশের ক্ষেত থেকে রক্তমাখা গেঞ্জি ও স্বর্ণালংকার রাখার ট্রে উদ্ধার করেছে এবং রনজিৎ (৩৪) নামে ওয়ার্কশের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদম প্রকাশ্যে গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনা বাউফলে এই প্রথম। এ কারণে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছেন। উপজেলা সদরে সর্বত্র থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বাউফল উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঈদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, ‘খুব শিগগির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হবে। সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সিসি ক্যামেরা দেখে ডাকাত শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করে সিসি ক্যামেরায় রক্ষিত ভিডিও দেখা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অধিকতর পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। আশা করছি সিসি ক্যামেরা ও পারিপার্শ্বিক অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। শঙ্কিত কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |