বাকেরগঞ্জে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, কেন্দ্র সচিবসহ গ্রেপ্তার ৬ নিজস্ব প্রতিবেদক
দাখিল পরীক্ষা চলাকালে নৈমত্তিক প্রশ্নপত্র কেন্দ্রের বাইরে পাঠিয়ে উত্তরপত্র প্রস্তুুতকালে বাকেরগঞ্জে কেন্দ্র সচিবসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আজ রোববার (২৬ ফেব্রয়ারী) বেলা ১১টায় বাকেরগঞ্জের রুনশী এলাকায় একটি বাড়ি থেকে ৪জন এবং পরে বাকেরগঞ্জ ইসলামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র সচিবসহ আরও এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হচ্ছেন, ইসলামিয়া মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা বশির উদ্দিন(৪৭), সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. নুরুজ্জামান(৩০), মো. জসিম উদ্দিন(৪৫), মেহেদি হাসান(৪০), আবু হানিফ(৩০) ও আব্দুল সালাম(৪৫)।
বরিশাল পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, চলমান দাখিল পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জের ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব সহ অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিটি পরীক্ষা শুরুর আগে সিলগালা প্যাকেট ভেঙ্গে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠিয়ে উত্তরপত্র তৈরী করে কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে পাঠিয়ে আসছিলো।
পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকরা ওই উত্তরপত্র দেখে পরীক্ষার্থীদের বলে দিতো এবং পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্রে উত্তর লিখতো। এ জন্য শিক্ষকর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিতো।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কঠোর নজরদারী শুরু করে। রোববার সকালে ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে পদার্থ বিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের লিখিত ও নৈবত্তিক প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সংলগ্ন জনৈক মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে উত্তরপত্র তৈরী করছিলো শিক্ষকরা।
গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে ৪ জন এবং তাদের স্বীকারোক্তী অনুযায়ী মাদ্রাসা থেকে কেন্দ্র সচিব ও আরও একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের লিখিত ও নৈবত্তিক ৪টি প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত প্রশ্নপত্রের সাথে আজকের দাখিল পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাস প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহাবউদ্দিন কবির।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জয়নুল আবেদীন জানান, এটি বড় ধরণের অপরাধ বিধায় বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের এখতিয়ারে নেই। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানান ইউএনও।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |