সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এএসআই পেয়েছেন পদোন্নতিও! নিউজ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার পরও আড়াই মাস ধরে চাকরিতে বহাল ছিলেন পুলিশের সদস্য হাবিবুর রহমান। একই সাথে মামলা চলাকালে অভিযোগপত্রে আদালতে তাকে ‘পলাতক’ দেখানো হলেও স্বশরীরে চাকরী করে পেয়েছেন পদোন্নতিও!
শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বরিশালের হিজলা থানা থেকে। সর্বশেষ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন বরিশালের নৌপুলিশে। সাত খুনের সময় তিনি ছিলেন কনস্টেবল।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান বলেন, হাবিবুর যে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তা আমরা আগে জানতাম না। নড়িয়া থানার দুজন কর্মকর্তা হাবিবুরের বিরুদ্ধে পলাতক আসামি হিসেবে পরোয়ানা নিয়ে আমাদের থানায় এলে বিষয়টি অবগত হই। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, সাত খুনের ঘটনার সময় কনস্টেবল হিসেবে হাবিবুর রহমান র্যাব-১১-এর কমান্ডিং লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের দেহরক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন। ৭ খুন মামলা চলাকালেই হাবিবুর রহমান পুনরায় পুলিশ বিভাগে ফিরে এএসআই পদে পদোন্নতি পান।
জানাগেছে, সাত খুনের মামলার পর র্যাব থেকে আসামিদের প্রত্যাহার করে যার যার বাহিনীতে পাঠানো হয় এবং হাবিবুর আবার যুক্ত হন পুলিশ বাহিনীতে। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মামলার চার্জশিট দাখিল হওয়ার পরও তাঁকে ‘পলাতক’ দেখানো হয়।
এই পলাতক আসামিদের বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় এবং তাঁদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে থাকার কথা। তারপরও হাবিবুর রহমান পুলিশে কাজ করার পাশাপাশি পদোন্নতি পেয়েছেন এবং সর্বশেষ বরিশাল নৌ-পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
তবে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামানের দাবি, হাবিবুর রহমান ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তথ্য গোপন করে তিনি চাকরিতে বহাল ছিলেন।
আরো পড়ুন…
সাত খুন মামলার সাজাপ্রাপ্ত বরিশালের এএসআই গ্রেপ্তার
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |