বরিশালে বিদ্যুতের ‘মেঘ’ ভয়! নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝড় নেই, নেই বাতাসও। মাঝে মধ্যে শুধু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তবে মেঘে ঢাকা রয়েছে আকাশ। তাতেই সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীতে চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা।
দুই এক মিনিট নয়, একেকবার অন্তত আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা করে চলছে এ লোডশেডিং। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এরকম চলছে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত বার। বাইরে মেঘে ঢাকা আকাশ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, আর ঘরে বিদ্যুৎ হীন অন্ধকারে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
মহানগরীর কাউনিয়া এলাকার স্কুল শিক্ষক সোহরাব হোসেন সিকদার অাক্ষেপ করে বলেন, ঝড় নাই, বাতাস নাই, আছে শুধু মেঘ। তা দেখেই ভয়তে হয়তো আমাদের বরিশালের বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। যথন আসছে, তখন বিদ্যুৎ থাকবে, না থাকবে না তার চিন্তাটুকুও করার সময় পাচ্ছে না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে অন্ধকার, বাইরেও অন্ধকার। এ অবস্থায় পাঠদান কি করে সম্ভব?
এদিকে একই অবস্থা বরিশালের অফিস-আদালত ও ব্যাংকের কার্যক্রোমেও। ব্যাতিক্রম নয় বরিশালের কাউনিয়া শিল্প নগরী বিসিকসহ বিভিন্ন কল কারখানার অবস্থা।
সেখানকার একাধিক ব্যক্তি জানান, সকাল থেকে ঘন ঘন শোডশেডিং এর কারণে অফিস আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি শিল্প- কলকারখানার উৎপাদও মারাক্তক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল বুধবার রাতে সামান্য বাতাস ও ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর আবার রাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। কিন্তু সকাল থেকে যে লোডশেডিং শুরু হয়েছে তা অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এ বিষয়ে রুপাতলীর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা দাবি করেন, বরিশালের সব এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে না। ঝড়ে কারণে লাইনে সমস্যা হওয়ায় তা মেরামতের কাজ চলায় কিছু কিছু এলাকায় সামান্য লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অচিরেই সব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |