অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ অনলাইন ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আজ (৩০ মে) মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকা দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে এ আঘাত হানে।
ঝড়ে সেন্টমার্টিনে বেশকিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এসব এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, বাতাসের গতিবেগ এর চেয়ে বাড়বে না বলে তারা আশা করছেন। বরং উপকুলের দিকে এগুনোর সাথে সাথে বাতাসের গতিবেগ আরো কমতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল এখনো কক্সবাজার অতিক্রম করেনি।
সকাল ৬টার দিকে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। একই সময়ে কক্সবাজার সদরে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আতঙ্কিত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে বরিশালে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছ থাকার পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ভোর চারটার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি বলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জানাচ্ছেন।
এদিকে কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করলেও তাদের ঘরবাড়ি উপড়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বর্তমানে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, বিবিসি, বাংলা ট্রিবিউন
আরো পড়ুন….
বরিশালের ৫ জেলা ঝুঁকিপূর্ণ, সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত বরিশালের উপকূল
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’: বরিশালে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
|