AmaderBarisal.com Logo

পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

এন.ইউ.সোহাগ, কলাপাড়া
আমাদেরবরিশাল.কম

১২ জুন ২০১৭ সোমবার ৪:২৭:২৮ অপরাহ্ন

patuakhali-news-map পটুয়াখালী সংবাদ মানচিত্রমৌসুমী নিন্মচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।

রবিবার দুপুর থেকে সোমবার দিনভর কলাপাড়া ও কুয়াকাটা পৌরসভা সহ উপকূলীয় এলাকায় দমাকা ও ঝড়োহাওলার সাথে মাঝারি ও ভাড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।

ঝড়ের কবলে পরে বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত এবং শত শত গাছপালার ক্ষতি সাধন হয়েছে।

সমুদ্র উত্তাল থাকায় সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মৎস্যবন্দর আলীপুর ও মহিপুর এবং ঢোস, ফাতরাবনের খালে নিরাপদে অবস্থান করছে। সাগর নদ-নদীতে দফায় দফায় অস্বাভাবিক জোয়ারে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখে যেতে বলেছেন। বজ্র মেঘমালার কারণে উপকূলীয় এলাকাসহ সমগ্রদেশে আরো দুই তিন দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, নিন্মচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গেপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরা ট্রলারকে পরবর্তি নিদেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। একই সাথে উপকূলীয় এলাকার নিন্মাঞ্চলের দুই ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী ভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়েগেতে পারে। উপকূলীয় এলাকার নদীবন্দর সমূহকে দুই নম্বর নৌ হুশিয়রিক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সরেজমিন মৎস্যবন্দর আলীপুরে গিয়ে দেখাগেছে, গত রবিবার দুপুর থেকে সোমবার পর্যন্ত দুই দিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভাড়ি বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। প্রবল বেগের ঝড়ো ও দমকা হাওয়ায় লতাচাপলী, গঙ্গামতি, ধুলাসার ইউনিয়নসহ কুয়াকাটা ও কলাপাড়া পৌরশহরের শত শত গাছ পালার ডাল ও গাছ উপড়ে পরে আছে।

একই সাথে বেড়িবাঁধের বাইরের শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমুদ্রের সকল মাছধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। জোয়ারের সময় সাগর ও আন্ধারমানিক নদ, সোনাতলা নদী, আগুনমোখা ও রামনাবাদন নদে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিন্মাঞ্চলের শতাধীক বসতবাড়ি এবং কৃষি জমি তলিয়ে গেছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কলাপাড়াসহ সমগ্র উপকূল জুড়ে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। দমকা হাওয়াসহ বজ্র ও মাঝারি ধরনের বৃস্টিপাত অব্যহত রয়েছে।

কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আনোয়ার হোসেন জনায়, রবিবার দুপুর থেকে সোমবার শেষ বিকাল পর্যন্ত দমকা ও ঝড়োহাওয়ায় শত শত গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আংশিক কাঁচা বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে কুয়াকাটা ও মৎস্যবন্দর আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা জানায়, গত রবিবার থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরের শিববাড়িয়া নদীতে প্রায় ৫০০ মাছ ধরার ট্রলার আশ্রয়ে রয়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তারা সকল প্রস্তুতি থাকা সত্তেও মাছ শিকারে যেতে পারছে না। এবছর ইলিশ মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখিন হয়েছে জেলেরা। শত শত ট্রলার সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকার বাজার এবং বরফ ক্রয় করে ট্রলার বোঝাই করে ঘাটে বসে আছে দূর্যোগের কারণে।



সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।