উৎসবের নগরী বরিশাল নিউজ ডেস্ক
আকাশে ঈদের চাঁদ উঠেছে। বরিশালের ঘরে ঘরে খুশির বন্যা। গ্রাম কিংবা শহর, বাদ নেই কোথাও। সবখানেই ঈদের আনন্দ!
চাঁদরাতের পুরোটা সময় বরিশাল জেগে আছে আনন্দ, আড্ডা আর ক্রেতাদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায়। ইতোমধ্যে আনন্দের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে শহরে। গোটা বরিশালাই এখন বলা যায় পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। মহল্লায় মহল্লায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে ঈদ জামাতের সময়সূচি।
কিছু এলাকায় কানে ভেসে এসেছে সাউন্ড সিস্টেমে উচ্চশব্দে বাজানো গান। এভাবেই ঈদের আগাম উৎসবে মেতে উঠেছে তরুণরা। পথের ধারে চটপটি-ফুচকার দোকানে খেতে খেতে চলছে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা।
এই ঈদে আনন্দটা একটু বেশি। কারণ, দীর্ঘ এক মাস রোজার পর ঈদ। চাঁদ দেখার ওপর ঈদের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়। আর নতুন জামাকাপড় কেনার ধুম পড়ে এই ঈদেই।
ঈদে ধনী-দরিদ্রের যেমন ভেদাভেদ থাকে না, তেমনি অন্য ধর্মের মানুষদেরও আনন্দের ভাগিদার করে মুসলমানরা। ঈদের চাঁদ ওঠার আগে থেকেই শুরু হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময়, ঈদকার্ড কিংবা মেইল-এসএমএস, ডিজিটাল যুগে ধরণ পাল্টেছে। মুহূর্তে শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে যাচ্ছে আরেক প্রান্তে।
বর্ণিল ঈদ উদযাপন করতে বরিশাল নগরী সেজেছে এবারও। আলোকসজ্জা করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোয়। পারা মহল্লায়ও হচ্ছে আলোকসজ্জা।
এদিকে সাজের পালায় দীর্ঘ লাইন পড়েছে বরিশালের বিউটি পার্লারগুলোতে। শেষ সময়ে চুলে ছাট, রঙ লাগানো ও দাড়ি কামাতে সেলুনগুলোতেও ভিড় করেছেন পুরুষেরা।
রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন বিউটি পার্লার আর সেলুনে ছিল তীব্র ভিড়। ফেসিয়াল, চুলের ছাট আর মেহেদীর রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার এই তাড়া দেখা গেছে দিনভরই।
তরুণ-তরুণীদের চাহিদা অনুযায়ী সাজিয়ে দিতে ব্যস্ত সময় পার করেন নামী বিউটি পার্লার থেকে শুরু করে সাধারণ সেলুনের দোকানিরাও, সন্ধ্যায়ও কমেনি সেই চাপ।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |