মঠবাড়িয়ায় দুই স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে পণ্ড ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, মঠবাড়িয়া
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল লীমা আক্তার ও লাবনী আক্তার নামের দুই স্কুল ছাত্রী।
লীমা চলতি জেএসসি পরীক্ষার্থী ও লাবনী পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজের হস্তক্ষেপে ওই দুই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে উভয় পরিবার বাল্য বিয়ে না দিতে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদায় করেন।
জানাগেছে, উপজেলার দধিভাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি জামাল হোসেনের কন্যা জেএসসি পরীক্ষার্থী লীমা আক্তারের সাথে পাশ্ববর্তী বরগুনার বামনা উপজেলার মাহবুবুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেনের পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে ঠিক হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বরপক্ষ ও বিয়ের কাজি পালিয়ে যায়। এতে জেএসসি পরীক্ষার্থী লীমা আক্তারের বাল্যবিয়ে পণ্ড হয়ে যায়।
অপর দিকে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সবুজনগর মহল্লার বাসিন্দা লাল মিয়ার কন্যা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী লাবনী আক্তারের সাথে উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের মো. রাজু মিয়ার সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। বর ও কনের পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে লাবনীকে দেখতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে আসে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে পঞ্চম শ্রেনীর ওই ছাত্রীও বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায়।
বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা স্টেপস্ এর মাঠ সমন্বয়কারী ইসরাত জাহান মমতাজ জানান, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা মনিকা আক্তার ও ইউএনও’র সহায়তায় থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ বলেন, দুই স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ওই দুই পরিবার যাতে আর বাল্যবিয়ের আয়োজন না করতে পারে তার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়েছে।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |