ভোলা শহরের কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা
ভোলা শহরের শতবছরের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোরের দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। এসময় চোরেরা ক্লপসিবল গেটের তালা ভেঙে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১০ ভরি রুপার অলঙ্কারসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মূলের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ডিসি অফিস ও জজ কোর্টের কাছাকাছি কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
শ্রী শ্রী করুনাময়ী কালীমাতার মন্দির কমিটির সভাপতি বিকাশ মজুমদার জানান, চোরের দল পিছনের দিক দিয়ে মন্দিরে ঢুকে। এ সময় মন্দিরের পুরোহিত জয়পাল চ্যাটারর্জি ঘুমিয়ে ছিলেন। ক্লবসিবল গেটসহ তিনটি তালা ভেঙে চোরের দল মন্দিরের প্রতিমা থেকে সোনা ও রুপার গহনা চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে পূজারীরা মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে দেখতে পান মন্দিরের দরজার তালা ভাঙ্গা এবং ভেতরের জিনিসপত্র উলট পালট করা। পরে হিসেব করে দেখা যায় ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১০ ভরি রুপার গহনা চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য আড়াই লাখ টাকা।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রিয়াজুল করিম, সহকারী পুলিশ সুপার শেখ সাব্বির হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির, পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ ও সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেসহ মন্দির কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ডিসি অফিস ও জজ কোর্টের কাছাকাছি কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় শহরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে বলে জানালেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দুলাল চন্দ্র ঘোষ এবং সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন জানান, “মন্দিরে চুরির বিষয়টি রহস্যজনক”। চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার ও চোরদের সনাক্ত করার জন্য পুলিশের ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সম্পাদনা: অচিন্ত্য মজুমদার |