পুলিশের বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ বাউফল প্রতিবেদক
পটুয়াখালীর বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনের এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে এক যুবলীগ কর্মীর পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়াগেছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ব্রিজ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই যুবকের নাম ইরান হাওলাদার (৩৬)। তিনি একই ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে এবং স্থানীয় যুবলীগ কর্মী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রেজানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হোগলা গ্রামের আবদুল মান্নান হাওলাদারের সঙ্গে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. সাদেক হাওলাদারের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ওই ঘটনার জের ধরে দুপুরে ব্রিজ বাজারে সাদেকের নেতৃত্বে সাত-আটজন মিলে ইরানকে মারধর করে পুলিশকে খবর দেন।
পরে এসআই মামুনসহ আরও এক পুলিশ সদস্য গিয়েও সাদেকের পক্ষ নিয়ে ইরানকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ইরানের পকেটে গাঁজার পোটলা দিয়ে এসআই মামুন গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে তাকে (ইরান) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। ইরানের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, তাদের প্রতিপক্ষ মো. সাদেকের ঘনিষ্টজন হলেন এসআই মামুন। এ কারণেই গাঁজার নাটক সাজিয়ে ইরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
থানা হেফাজতে পুলিশের সামনে মারধরের বিষয়ে মুখ না খুললেও তার সঙ্গে কোনো গাঁজা ছিল না বলে ইরান সাংবাদিকদের বলেন।
এসআই মো. মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘স্থানীয় লোকজন গাঁজাসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আমি কোনো মারধর করিনি।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন,‘ইরান একজন মাদক ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে তাকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।’
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |