Current Bangladesh Time
শনিবার এপ্রিল ২০, ২০২৪ ২:১২ পূর্বাহ্ন
Barisal News
Latest News
প্রচ্ছদ » পর্যটন, বরিশাল, বরিশাল সদর, সংবাদ শিরোনাম » পানিতে ভাসছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সর্ববৃহৎ কীর্তনখোলা-১০
২৯ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার ২:৩৭:৪০ অপরাহ্ন
Print this E-mail this

পানিতে ভাসছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সর্ববৃহৎ কীর্তনখোলা-১০
অনলাইন ডেস্ক


বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ভাসছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০

ছবি: সংগ্রহীত

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা বিলাসবহুল লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০ আসছে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে।

সালমা শিপিং করপোরেশনের লঞ্চটির নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে চলছে উদ্বোধনের রঙ ও সাজসজ্জার কাজ।

সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে যাত্রী বহন শুরু করবে দেশের সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই লঞ্চটি।

সালমা শিপিং করপোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রিয়াজুল করিম জানান, আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য নদীতে ভাসানো হবে। সব ঠিক থাকলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বরিশাল-ঢাকা নদী পথে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে পারবে।

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ভাসছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ নৌ-স্থাপতির নকশায় সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রকৌশলীদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রায় দু’বছর ধরে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের নির্মাণ কাজ চলছে। ৩শ ফুটেরও বেশি দৈর্ঘের এ নৌযানটির প্রস্থ ৫৯ ফুট। এর লোয়ার ডেক, আপার ডেক ও দু’শতাধিক কেবিন মিলিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ এই লঞ্চটি দুই হাজারেরও বেশি যাত্রী ধারণ করতে পারবে।

এছাড়াও দুই শতাধিক টন পণ্য পরিবহনের সুবিধাও রয়েছে নৌযানটিতে। জাপানের একটি কোম্পানির তৈরি ৩ হাজার ২০০ অশ্বশক্তির ২টি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও নৌযানটির বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি ও ভিআইপি কক্ষসহ ডেক যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিতকরণে ৩টি জেনারেটরসহ আরও একটি স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরও সংযোজন করা হয়েছে।

যে সুবিধা রয়েছে : লঞ্চে প্লে-গ্রাউন্ড, ফুড কোড এড়িয়া, বিনোদন স্পেস, বড় পর্দার টিভি, অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারকম যোগাযোগের ব্যবস্থা, উন্মুক্ত ওয়াইফাই সুবিধাসহ রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা।

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ভাসছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০অভিজাত শ্রেণির বিলাসী যাত্রীদের জন্য লঞ্চটিতে থাকছে ১৭টি ভিআইপি কেবিন। কেবিনগুলো বানানো হয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক তিন তারকা হোটেলের আদলে। ব্যয়বহুল ও দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্রে সাজানো প্রতিটি কক্ষ। প্রতিটি কেবিনের সঙ্গে রয়েছে সুবিশাল বারান্দা।

এখানে বসে নদী, পানি, আকাশ আর আশপাশের মনোরম প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। কক্ষের ভেতরে রয়েছে এলইডি টেলিভিশন। রিভার সাইটের কেবিনের ভেতর থেকেও সহজেই দেখা যায় বাইরের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি। লঞ্চের করিডরগুলোতে রয়েছে নান্দনিক ডিজাইন।

নকশা ও কারুকাজ যে কারো মন কারবে। ভিআইপি ও কেবিন যাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা সুসজ্জিত খাবার হোটেল । চাহিদা অনুযায়ী বাবুর্চিরা যাত্রীদের সুস্বাদু সব খাবার পরিবেশন করবেন।

এছাড়া ২ হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই লঞ্চটিতে রয়েছে ৭০টি ডাবল ও ১০২টি সিঙ্গেল কেবিন।

৪ তলা এই লঞ্চটির ডেকের যাত্রীদের জন্য যাত্রা আরামদায়ক করতে নিচ তলা ও দুই তলায় বেছানো রয়েছে মসৃন কার্পেট। আলোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ডিজিটাইল লাইট। বিনোদনের জন্য তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের জন্য থাকছে বড় পর্দার টিভি এবং অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম।

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ভাসছে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০খাবার জন্য কেন্টিন ও পর্যাপ্ত টয়লেট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে লঞ্চটিতে। এছাড়া ডেকের যাত্রীদের জন্য রয়েছে মোবাইল চার্জের ১২৪টি পয়েন্ট। যেখানে ২৪৮টি মোবাইলে এক সঙ্গে চার্জ দেয়া সম্ভব হবে।

এছাড়া রোগীদের জন্য আইসিইউ, সিসিইউসহ মেডিকেল সুবিধা। যাত্রীদের নামাজের জন্য রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নামাজের স্থান। যেখানে এক সঙ্গে ৩০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আর যাত্রীদের নিরাপত্তায় লঞ্চটিতে থাকবে একজন কমান্ডারসহ সশস্র আনসার সদস্যরা। এছাড়া পুরো লঞ্চটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) আওতাভুক্ত। আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত লাইফ বয়া রাখা হয়েছে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য।

কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ এর হুইল হাউজে (চালকের কক্ষ) সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নির্ভর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে। এর রাডার-সুকান ‘ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক’ ও ম্যানুয়াল দ্বৈত পদ্ধতির।

পাশাপাশি নৌযানটিতে আধুনিক রাডার ছাড়াও জিপিএস পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে লঞ্চটি চলাচলরত নৌপথের ১ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে গভীরতা ছাড়াও এর আশপাশের অন্য যেকোনো নৌযানের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে।

এমনকি ঘন কুয়াশার মধ্যেও নৌযানটি নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ পরিচালনার জন্য দক্ষ মাস্টার অফিসার ও ইঞ্জিন অফিসার ছাড়াও অর্ধশতাধিক বিভিন্ন শ্রেণির ক্রু থাকছে।

কয়েক স্তর বিশিষ্ট স্টিলের মজবুত তলদেশ থাকায় দুর্ঘটনায় তলদেশ ফেটে লঞ্চডুবির আশঙ্কা নেই। অর্থাৎ এ জাহাজটিতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে।

 

সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ

শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
৪১.৫ ডিগ্রিতে থার্মোমিটারের পারদ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
বোতলজাত সয়াবিনের লিটারে দাম বাড়ল ৪ টাকা
ঝালকাঠির দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ৫ লাখ এবং আহতদের ৩ লাখ  ও ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা
Recent: Mayor Hiron Barisal
Recent: Barisal B M College
Recent: Tender Terror
Kuakata News

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আমাদের বরিশাল ২০০৬-২০২০

প্রকাশক ও নির্বাহী সম্পাদক: মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু, সম্পাদক: রাহাত খান
৪৬১ আগরপুর রোড (নীচ তলা), বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, ই-মেইল: hello@amaderbarisal.com