২০১৬ সালের প্রশ্নে চার ঘন্টা গণিত পরীক্ষা! নিউজ ডেস্ক
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি কেন্দ্রে ২০১৬ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে এসএসসির গণিত পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর তিন ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হয় চার ঘন্টা ধরে।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আগৈলঝাড়া উপজেলার শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও হল সুপারের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
১৬ সালের প্রশ্ন ও তিন ঘন্টার পরীক্ষা চার ঘন্টা নেওয়ার পরেও ভালো ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন ও হতাশা প্রকাশ করছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।
বিষয়টি জানতে চাইলে কেন্দ্রে উপস্থিত পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল বলেন, প্রশ্নপত্র দেরিতে দেয়ায় তাদের পরীক্ষার সময় বাড়ানো হয়েছে।
অবশ্য তিনি প্রথমে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও পরে পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তার কাছে পুনরায় ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
জানাগেছে, ওই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৮৩ জন। এর মধ্যে ৮১ জনকে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।
পরীক্ষার্থীরা জানান, প্রথমে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট পর তাদের ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করে। কেন্দ্র সচিব ও শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও হল সুপার কাঠিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র কর পরীক্ষার্থীদের কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে সরবরাহকৃত প্রশ্নেই তাদের উত্তর লিখতে বলেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের নির্দেশ মতো ২০১৬ সালের সরবরাহ করা ভুল প্রশ্ন পত্রের উত্তর লেখে। এমসিকিউ পরীক্ষার পর সরবরাহকৃত সৃজনশীল প্রশ্ন বিতরণকালে প্রশ্নপত্রে সংকট ধরা পরে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বন্ধ করে পার্শ্ববর্তী পরীক্ষা কেন্দ্র ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমি ও গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ফটোকপি করা প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরে সরবরাহকৃত ফটোকপি করা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয় পরীক্ষার্থীরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের খবর কেন্দ্র সচিব বা হল সুপার তাকে জানায়নি। সৃজনশীল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার পরে পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ৮১ জন পরীক্ষার্থীর ভাগ্যে কী ঘটবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বরিশাল শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিনি কেন্দ্র সচিব, হল সুপারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ করবেন বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি জানতে কেন্দ্র সচিব ও শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও হল সুপার কাঠিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র করের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |