ভোলা গণগ্রন্থাগার পাঠকশূন্য অনলাইন ডেস্ক
ভোলার জেলা গণগ্রন্থাগারটি পাঠকশূন্য হয়ে পড়েছে।
পাঠকদের অভিযোগ, শুধুমাত্র শহর থেকে দূরে হওয়ায় সারা বছর অনেকটা পাঠকশূন্য থাকছে গ্রন্থাগারটি।
জানাগেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৮২ সালে ১ জানুয়ারি ভোলা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় ভোলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। প্রথমে শহরের টাউন স্কুল ক্যাম্পাসে যখন গ্রন্থাগারটি ছিল তখনো ব্যাপক পাঠক সমাগম হতো।
শহরের বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাত সেখানে। এরপর ২০১০ সালে ভোলা শহরের পুলিশ লাইনসসংলগ্ন চরনোয়াবাদ সড়কের পাশে গ্রন্থাগারটি নিজস্ব আধুনিক ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়।
কিন্তু নতুন ভবনে নিতান্ত দরকার ছাড়া এখন কেউ আসে না আর। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিন বন্ধ থাকে গ্রন্থাগারটি। শনি থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকে।
কর্মচারীরা জানান, গ্রন্থাগারটিতে ২৪ হাজার ২২টি তাক ভর্তি সারি সারি বই সাজানো রয়েছে। সাইন্সফিকশন থেকে শুরু করে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, বাংলা ও ইংরেজি অভিধানসহ জ্ঞানসমৃদ্ধ মহামূল্যবান বইয়ের সমাহার এখানে।
গ্রন্থাগারটিতে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও রয়েছেন একজন লাইব্রেরি সহকারী ও নাইটগার্ড। প্রতিদিন সময়মতো আগমন ও প্রস্থান ঘটে তাদের। কিন্তু যাদের জন্যে লাইব্রেরি সেই পাঠক না থাকায় সারা বছর অনেকটা নিষ্প্রাণ এ গণগ্রন্থাগারটি। শুধুমাত্র দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে এর পাঠকসংখ্যা।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |