বেতাগীতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, বিএনপির অফিস ভাঙচুর বেতাগী প্রতিবেদক
বরগুনার বেতাগীতে ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে বিএনপি‘র পৌর কমিটির অফিস উদ্বোধন ও কর্মী সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। ভাংচুর করা হয়েছে পৌর বিএনপির অফিস ও নেতা মো: হুমায়ূন কবিরের বাসা এ অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ১৯ জন আহত হয়েছে।
গতকাল বৃহাস্পতিবার ( ১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকেল সারে ৫ টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি মো: শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন পৌরসভার উপজেলা ডাকঘরের সম্মুখে উপজেলা কমিটির অফিস উদ্বোধন করেন।
পরে সন্ধ্যা সারে ৬ টার দিকে পৌর শহরের স্টেশন রোডে খন্দকার মাহবুব হোসেন পৌর কমিটির অফিস উদ্বোধন ও কর্মী সমাবেশে যোগদানের চেস্টা করলে ছাত্রলীগ বাধাঁ দেয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গেলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
পৌর বিএনপি অভিযোগ করেন, এক পর্যায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা পৌর বিএনপি অফিস ও দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ও গত পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো: হুমায়ূন কবিরের বাসয় হামলা চালিয়ে তছনছ ও তার ছোট ভাই রিয়াজুল কবিরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ বিষয় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ আদনান অনীক বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে শ্লোগান দিতে থাকলে সংগঠনের কর্মীরা বাধা দেন। এসময় পুলিশ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: বেল্লাল হোসেন,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: লিটন ফরাজী ও ছাত্রলীগ নেতা সোহাগসহ তাদের ১৭ নেতা-কর্মী আহত হন।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আর-রশীদ জানান, বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের কর্মসূচিতে বাধা দেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গেলে কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ঘটনার সময় পুলিশ কনেস্টবল মেহেদী আহত হন। সাংবাদিকের ওপর হামলা করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে আমাদের সময় প্রতিনিধি মহসিন খান আহত হয়। পৌর বিএনপি অফিস ও বাসায় হামলার সময় বিএনপি নেতা প্রভাষক মো: শাহীন, ছাত্রদল নেতা মো: শাহীন, শহীদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো: জিয়া, আব্দুর রহিম সহ ১২ জন আহত হয়।
এ সময় বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হালিম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিন শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক মো: কামাল হোসেন সহ বিভিন্ন নেতা-কমি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাধাঁ প্রদান করে গনতান্ত্রিকও মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় জেলা প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরামের বেতাগী উপজেলা সমন্বয়কারী সাইদুল ইসলাম মন্টু এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |