বরিশালে ঝরছে বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়ের শংকা, বন্দরে সতর্কতা অনলাইন ডেস্ক
বরিশাল নগরীতে আজ বুধবার (২৩ মে) সকাল থেকে ঝরছে বৃষ্টি। থেমে থেমে কখনও ভারী আবার কখনও হালাকা বৃষ্টি ঝরছে। মাঝেমধ্যে বইছে ঝড়ো বাতাস। মেঘে আচ্ছন্ন রয়েছে আকাশ। শুধু বরিশাল নয় বিভিাগের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েক দিন ধরেই চলছে এ বৃষ্টি।িএ অবস্থায় কে বলবে এটা গরমকাল? ভাবগতিকে তা বোঝার জো নেই।
এদিকে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশালের ওপর দিয়ে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
একই সাথে বরিশাল বিভাগের সকল নৌবন্দরকে আজ ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়,পশ্চিমা লঘুচাপ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
কেন এত বৃষ্টি: এ বিষয়ে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত জলীয় বাষ্পের জোগান অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কম ছিল। এর সঙ্গে ঊর্ধ্ব স্তরেও জলীয় বাষ্পের আধিক্য কম ছিল। কিন্তু মধ্যাঞ্চলের পূর্ব দিকে আবার জলীয় বাষ্পের পরিসর বেশি থাকছে। তাই বায়ুর আর্দ্রতার তারতম্যের রেখার পর মেঘমালা প্রচুর পরিমাণে তৈরি হচ্ছে। এ কারণে দেশের উত্তর থেকে পূর্বাঞ্চলে কালবৈশাখীর সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি বেশি হতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমা বাতাসের সঙ্গে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা বাতাসে মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ে ওই মেঘ বাধা পেয়ে মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝখানে বৃষ্টির কিছুটা বিরতি হলেও তাপমাত্রা খুব একটা বৃদ্ধি পাবে না। ভ্যাপসা গরম কিছুটা অনুভূত হতে পারে, তবে দাবদাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, জুন মাসের ১০ তারিখের দিকে মৌসুমি বায়ু এ দেশের ওপর চলে আসতে পারে। তখন বর্ষাকাল শুরু হয়ে যাবে।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |