AmaderBarisal.com Logo

বাউফলে ফেরতে গেল উন্নয়নে বরাদ্ধের কোটি টাকা

বাউফল প্রতিবেদক
আমাদেরবরিশাল.কম

১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার ৬:১১:১৮ অপরাহ্ন

patuakhali-news-map পটুয়াখালী সংবাদ মানচিত্রপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভাগ বন্টনের হিসেব না মেলায় ফেরৎ দেয়া হয়েছে বাউফল উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য এডিপির বরাদ্ধকৃত এক কোটি টাকা।

এ দিকে উন্নয়ন বরাদ্ধের এ টাকা ফেরৎ যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের খামখেয়ালীপনা এবং সমন্বয়হীনতার কারনেই ফেরৎ গেছে উন্নয়ণ বরাদ্ধের কোটি টাকা। অপরদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন প্রকল্প জমা না দেয়ায় ফেরৎ দেয়া হয়েছে বরাদ্ধকৃত টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাউফল উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য এডিপি খাত থেকে বরাদ্ধ দেয়া হয় এক কোটি টাকা। কিন্তু উক্ত বরাদ্ধকৃত টাকায় প্রকল্প গ্রহন এবং বরাদ্ধকৃত টাকা ইউনিয়ন পরিষদ অনুযায়ী বন্টন নিয়ে বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের সাথে মতানৈক্য সৃষ্টি হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের।

এ নিয়ে অনির্ধারিতভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের একাধিকবার আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় প্রকল্প গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। আর একারনেই জুন মাস শেষে ফেরৎ দেয়া হয়েছে বাউফল উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত এক কোটি টাকা।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে চিঠি দেয়া হলেও সেখানে বরাদ্ধকৃত টাকার কোনো পরিমান উল্লেখ করা হয় নি। এ কারনে প্রকল্প গ্রহন করা যাচ্ছিল না। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে একাধিকবার বলার পরেও তিনি এ বিষয়ে কোনো উদ্দেগ নেন নি। মূলত তাঁর খাম খেয়ালীপনার কারনেই ফেরৎ গেছে উন্নয়ন বরাদ্ধের এ টাকা।

এ বিষয়ে এডিপির প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রকল্প দেয়ার জন্য দুই বার চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনা প্রকল্প জমা পড়েনি। এ জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিযূষ চন্দ্র দে বলেন, আমি সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছি। আমি আসার আগেই প্রকল্প গ্রহনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আর জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিধান থাকায় ফেরৎ গেছে ওই উন্নয়ণ বরাদ্ধের টাকা।

এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান বলেন, টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে মূলত দুই কারনে, প্রথমত চিফ হুইপ মহোদয় এই বরাদ্ধ থেকে ৩০লক্ষ টাকার প্রকল্প চেয়েছেন। দ্বিতীয়ত চেয়ারম্যানদেরকে দুই বার চিঠি দেয়া সত্বেও তারা কোনো প্রকল্প জমা দেন নি। আর প্রকল্প জমা না দেয়ার কারনেই টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এখানে আমার বিরুদ্ধে যে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।



সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।