রাজাপুরের কর্দমাক্ত রাস্তায় দুর্ভোগ রহিম রেজা, ঝালকাঠি থেকে
ঝালকাঠির রাজাপুরের সদর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের দুই কিলোমিটার কর্দমাক্ত একটি মাটির বাইপাস রাস্তার জন্য দেড়শতাধিক পরিবারের লোকজন কয়েক যুগ ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
রাস্তাটির দুই প্রান্তে পাকা সড়ক থাকলেও মাঝখানে দুই কিলোমিটার বাইপাস সড়ক কাচা রয়েই গেল। বিভিন্ন সময় স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রার্থীরা ওই রাস্তাটি পাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত কেউ তা বাস্তবায়ন করেনি বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন এলাকার ৪ শতাধিক লোক চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন।
এলাকার ভুক্তভোগি এমদাদ, মারুফ তালুকদারসহ একাধীক লোকে অভিযোগ করে জানান, বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে একাকার হয়ে গেছে। চলাচল করার কোন সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীরা অতিকষ্টে ক্লাসে যায়। কর্দমাক্ততায় শিক্ষার্থীসহ সকল যাতায়াতকারীদের পোষক নষ্ট হওয়া এবং অনেকেই আহত হচ্ছেন। কিন্তু রাস্তাটির এ দুর্ভোগ লাগবে কারই কোন মাথা ব্যাথা নেই।
দুই বছর পুর্বে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ভোট প্রার্থনার এক সভায় একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে ছিলেন যে রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য পাস করা হয়েছে, অতি শিঘ্রই কাজ শুরু হবে। আপনারা কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারি। দুই বছর অতিবাহিত হলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি।
তবে চেয়ারম্যানের মতামত না পেলেও স্থানীয় রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মনোহরপুর গ্রামের বটতলা নামক এলাকা থেকে তালুকদার বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাচা সড়কের বটতলা থেকে এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করনের জন্য গত একমাস আগে টেন্ডার হয়েছে। শিঘ্রই কাজ শুরু হবে। বাকি এক কিলোমিটার সড়কের কাজ পাকা করনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: লুৎফর রহমান বলেন, ওই স্থানে এরকম কোন রাস্তার টেন্ডার হয়েছে কি না তা আমার জানা নাই। তবে জেলা পরিষদে হতে পারে তাও আমার জানা নাই।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |