৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’
অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ভয়ঙ্কর রূপে এই শক্তির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডব লীলা দেখাতে পারে এই ঝড়। ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু বলছে, ১৯৭৬ সালের পর এতো শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি এই অঞ্চল।
শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে
পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফণী’র। শক্তি সঞ্চয় করে ধীর গতিতে বঙ্গোপসাগরে
ঘোরপাক খাওয়া এই ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে
ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ তাণ্ডব চালাতে পারে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায়। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এসব জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু ও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলেছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী
বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরি
থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গত ৪৩ বছরে অর্থাৎ
১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের
সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ সাধারণত ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত
হয়ে থাকে এবং এই ঝড় যে কোনো সময় সৃষ্টি হতে পারে। তবে সাধারণত বর্ষা
মৌসুমের শেষে অথবা মে মাসের দিকে এমন ঝড় দেখা দিলেও বেশিরভাগই নভেম্বরে হয়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের মহাপরিচালক কে জি রমেশ বলেন, এ ধরনের ঝড় বৈশ্বিক উষ্ণতা পরিবর্তনের ফল। বঙ্গোপসাগরের বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনের কারণে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে…। বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে এখন আমাদের এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি এবং পূর্ব সতর্কতা নিতে হবে। তবে এই ঝড়ের কারণে আগাম বর্ষা শুরুর সম্ভাবনা নেই।-জাগো নিউজ
|