AmaderBarisal.com Logo

ফণী মোকাবেলায় প্রস্তত আমতলী ও তালতলী প্রশাসন


আমাদেরবরিশাল.কম

৩ মে ২০১৯ শুক্রবার ৪:৫৩:৪০ অপরাহ্ন

barguna-news-map বরগুনা হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের অভিযোগে একজন গ্রেফতার সংবাদ মানচিত্র

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ::: ঘূর্ণিঝড় ফণীর আতঙ্কে রয়েছে উপকূলীয় আমতলী ও তালতলী উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ। দিন ভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুমোট আবহাওয়া পর বিকেল থেকে বৃষ্ট শুরু হওয়ায় এ আতঙ্ক আরো ছড়িয়ে পড়ে। ফণি মোকাবেলার জন্য জন্য প্রস্তত আমতলী-তালতলীর উপজেলার প্রশাসনসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ।

ইতোমধ্যে প্রস্তত রাখা হয়েছে দুই উপজেলায় ১’শ ৪৫ টি সাইক্লোন সেল্টার। উপকূলীয় মানুষ ও জেলেদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য কাজ করছে আড়াই হাজার সেচ্ছাসেবী। ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মৎস্যজীবীরা নিরাপদ স্থানে অশ্রয় নিয়েছে।
জানাগেছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী পায়রা সমূদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে আমতলী- তালতলীর উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে ফলে শুক্রবার পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে সামান্য পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপকূরীয় নি¤œাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল থেকে পায়রা নদীর ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ফণী মোকাবেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচী অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমতলী ও তালতলীতে মানুষের সচেতনতার জন্য মাইকিং ও সতর্কীকরন সংকেত পতাকা উত্তোলন এবং সাগর ও তৎসংলগ্ন নদ-নদীতে চলাচলরত সকল প্রকার মাছ ধরা ট্রলার ও নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য আমতলীতে এক হাজার ৬’শ ৫০ ও তালতলীতে ৮’শ ৭০ জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তÍতি কর্মসূচীর সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চল এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রস্তÍত রাখা হয়েছে দুই উপজেলায় ১’শ ৪৫ টি সাইক্লোন সেল্টার।

শুক্রবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তালতলী উপজেলার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন আশারচর, খোট্টারচর, নিদ্রাসকিনা, ফকিরহাট, বালিয়াতলী, জয়ালভাংঙ্গা, তেতুঁলবাড়িয়া, নিউপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী, ছোটবগী, পচাঁকোড়ালিয়া, আমতলী উপজেলার পশুরবুনিয়া, লোচা, ফেরীঘাট, আমুয়ারচর, বৈঠাকাটা, আগুলকাটা, গুলিশাখালীর নাইয়াপাড়া ও হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনেক মানুষ নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। উপকূলীয় এলাকার সকল মাছ ধরা ট্রলার তীরে ফিরে এসেছে।

তালতলীর ফকিরহাট মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আবদুস ছালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর খবর পেয়ে বঙ্গোপসাগরের সকল মাছ ধরা ট্রলার এবং চরের জেলেরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

আমতলী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তÍুতি কর্মসূচী (রেড ক্রিসেন্ট) কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাইকিং প্রচার প্রচারনা করে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার সকল প্রস্তÍতি নেয়া হয়েছে। এ জন্য মাঠে কাজ করছে দুই হাজার ৫’শ ২০ জন সেচ্ছাসেবক। তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১’শ ৪৫ টি সাইক্লোন সেল্টার।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সভা করা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছে সেচ্ছাসেবী ও জনপ্রতিনিধিরা। তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রন কক্ষ খোলা হয়েছে। সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।



সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।