রিফাত হত্যায় আরো তিনজনের সাক্ষ্য ও জেরা
অনলাইন ডেস্ক::: বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আরো তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেলা সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামানের আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়ে।
এ পর্যন্ত জলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৪১ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আদালতে সোমবার তাপস দেবনাথ, বৃষ্টি দাস ও সাইফুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসময় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর কোর্ট প্রাঙ্গণে বৃষ্টি দাস বলেন, আমি বরগুনা
সরকারী কলেজে একাউন্টিং প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করি। ঘটনার দিন ২৬ জুন কলেজের
চতুর্থ তলায় ক্লাসের অপেক্ষায় ছিলাম। সকাল অনুমান সোয়া ১০টার দিকে কলেজ
গেটের সামনে চিৎকার শুনে উত্তর দিক তাকালে দেখতে পাই বেশ কয়েকজন একটি
ছেলেকে কোপাইতেছে। তবে আমি তাদের কাউকে চিনি না।
বৃষ্টি দাসের স্বামী তাপস সাক্ষ্য শেষে বলেন, আমি নয়ন বন্ড ও তার স্ত্রী
মিন্নিকে চিনতাম। ওরা আমার দোকানে এসে প্রায়ই জামাকাপড় বাকিতে নিত। আমি
নয়ন বন্ডের দুইটি ফোন নম্বর আমার ফোনে সেভ করে রাখি। ঘটনার দিন ২৬ জুন আমার
স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানায়, কলেজে মারামারি হয়েছে। তুমি আমাকে নিয়ে যাও।
আরেক স্বাক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, কলেজের সামনে আমার একটি ষ্টেশনারী
দোকান আছে। ঘটনার দিন ২৬ জুন আমি দোকানে ছিলাম। তখন দেখি কয়েকটি ছেলে একটি
ছেলেকে কলেজ গেট থেকে ক্যালিক্স একাডেমির দিক নিয়ে আসে। এদের মধ্যে একটি
ছেলে দুইটি রাম দা নিয়ে আসে। একটি দিয়ে কোপায় আর অন্যটি মাটিতে রাখে। পরে
নয়ন বন্ড, মাটিতে রাখা দা দিয়ে রিফাতকে কোপায়। পরদিন দুপুরে বাবুলের চটপটির
দোকান থেকে একটি ষ্টীলের চামচ পুলিশ জব্দ করে। আমি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর
করি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো: শাহজাহান মিয়া বলেন, সাক্ষ্য প্রদানের সময়
তারা কোন আসামীদের নাম বলেনি। যার কারণে যার কারণে তাদের জেরা করা হয় নি।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |