কুয়াকাটার সূর্যাস্তের দৃশ্যে মুগ্ধ রাষ্ট্রপতি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার ৫:১৪:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কলাপাড়া ॥ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বসে সূর্যাস্তের বিড়ল দৃশ্য অবলোকন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটা বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে এসে কুয়াকাটায় অবতরণ করেন। এসময় তাকে স্বাগত জানান, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইয়ামিন চৌধুরী, পুলিশের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস রাশিদা খানম, পূত্র রাসেল আহমেদ তুহীনসহ পরিবারের সদস্যরা। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব, রাষ্ট্রপতির সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এর পর তিনি বিশেষ গাড়ি যোগে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন অবস্থান করেন। পাঁচটা ৩০ মিটিনে তিনি সূর্যাস্ত দেখার জন্য সৈকতে নির্মান করা বিশেষ প্যান্ডেলে আসেন। সূর্যাস্ত দেখার পর মুগ্ধ হয়ে তিনি সৈকত পরিদর্শণ করে ছয়টা ২০ মিনিটের দিকে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ইয়ুথ ইন মোটেলে চলে আসেন। রাতে কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপজেলা সফরকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিদেশী সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষায় দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে স্থানীয় প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সংশিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে বেশীরভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠন বিদেশী সংস্কৃতির পাশাপাশি খ্যাতিমান শিল্পীদের এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে আমাদের এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং আমাদের দীর্ঘকালের স্থানীয় সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালনকে জোরদার করতে হবে।” “আপনারা যেভাবে দেশীয় সংস্কৃতির আবহে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তা দেখে আমি খুবই আনন্দিত” এ কথা উলেøখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই অনুষ্ঠানে কেবল স্থানীয় শিল্পীরা তাদের সংগীত, নৃত্য ও পুতুল নাচের মাধ্যমে যে পরিবেশনা তুলে ধরেছেন আমি তা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেছি। রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমাদের রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং তা তুলে ধরা দরকার।” রাষ্ট্রপতি কুয়াকাটা ও আশপাশের এলাকার অধিবাসীদের এখানে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করার আহবান জানান। আবদুল হামিদ বলেন, “দেশে মিশ্র সংস্কৃতির ধারা অব্যহত রাখতে এখানে বসবাসকারী রাখাইন জনগোষ্ঠীর প্রতি পূর্ণ মনযোগ দিতে হবে অন্যথায় বাংলদেশে বিদ্যমান শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকাশ পূর্ণতা পাবে না।” রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে একত্রে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্য,সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, সিনিয়র বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আজ বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তন শুরু হয়েছে। ২য় সমাবর্তনে অংশ নিয়ে গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্য শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে তিনি ভাষন শুরু করেন। এর আগে সমাবর্তনের বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ। এবার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২য় সমাবর্তনে মোট ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে। এর মধ্যে কৃষি অনুষদের ১০ জন, বিএএম অনুষদের ১০ জন, সিএসই অনুষদের ১০ জন, এএনএসভিএম (এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি) থেকে ৪ জন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট থেকে ৬ জন, এএনএসভিএম (ডিভিএম) থেকে ১১ জন, এনএফএস থেকে ৪ জন ও ফিশারিজ ফ্যাকাল্টির ৮ জন রয়েছে। সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
||