ভাঙা ব্রিজে দূর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি :::বরগুনার বেতাগীতে বেড়েরধন খালের উপরে খোন্তাকাটা লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ি সংলগ্ন ভেঙে যাওয়া আয়রন ব্রিজটি এখন আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। ব্রিজের মধ্যেভাগের কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে পথচারীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোন্তাকাটা লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকন বাড়ী সংলগ্ন বেড়ের ধন খালের উপর ২০০৭ সালে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে। ২০১৮ সালের ১৬ মে ট্রলারে ধাক্কায় ব্রিজটির মধ্যভাগে লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে পরে টপ স্লাবটি ব্রিজটি ধসে পড়ে। এতে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরে দুই পাড়ের ১০ গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের।
পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট ব্রিজটির মধ্যভাগে উপর কাঠের ছাউনী দিয়ে সাময়িককভাবে মানুষ চলাচলের উপযোগী করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান হাওলাদার অভিযোগ করেন, সেই থেকে মানুষের পায়ে হাঁটা ও মোটরসাইকেল চলচল ব্যতিরেকে ভারী কোন যানবাহন পারাপার করতে পারছেনা। বর্তমানে কাঠের পাটাতনের লোহার পেরেক আগলা হয়ে অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পরেছে। বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ।
বেতাগী, পাশ্ববর্তী পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের সহাস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বেতাগী পৌরশহর, স্কুল, কলেজ এবং শ্রীনগর এবং মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করেন। এসব মানুষ মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, মাহেন্দ্রা, প্রাইভেটকারে চলাচল এবং মিনি ট্রাকে বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে আসছিল কিন্ত দু:খের কথা বর্তমানে নড়বড়ে কাঠের পাটাতনের উপড় দিয়ে মানুষ শুধু পায়েহাঁট ও মোটরসাইকেলে চলাচল ব্যতিরেকে অন্য কোন যানবাহনে চলাচল করতে পারছেনা। শীঘ্রই এটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এমনই আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এবিষয় বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, আয়রন ব্রিজটি নতুন করে টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিস্টদের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এটি দ্রুত সময়ে নির্মানের মাধ্যমে স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |