প্রচ্ছদ » আমতলী, বরগুনা » ঘুর্ণিঝড় আম্পান আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দমকা বাতাস আর গুরি গুরি বৃষ্টিভয় আর আতঙ্ক নিয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
২০ মে ২০২০ বুধবার ৭:২৫:৫৬ অপরাহ্ন
ঘুর্ণিঝড় আম্পান আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দমকা বাতাস আর গুরি গুরি বৃষ্টিভয় আর আতঙ্ক নিয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
জাকির হোসেন,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
সুপার সাইক্লোন আম্পান এর প্রভাবে মঙ্গলবার রতে থেকেই উপকূরীয় আমতলী ও তালতলী উপজেলায় থেমে থেমে প্রচন্ড বেগে দমকা বাতাস বইছে এর সঙ্গে রয়েছে গুরি গুরি বৃষ্টি। বৃষ্টি এবং বাতাস উপেক্ষা করে মানুষ ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকাল থেকে আমতলীর ৮০টি আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে রাত যাপন করা মানুষদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে খিচুরি এবং বুধবার সকালে শুকনা খবার সরবরাহ করা হয়েছে। আম্পানের প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অন্তত ৭সেন্টিমিটার বীপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোণ আম্পান। বুধবার সন্ধ্যা নাগাত উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। উপকুলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপকুলের মানুষ মঙ্গলবার রাত থেকে সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপকুলের আমতলীর ৮০টি ও তালতলীর ৩০সহ এক’শ ১০টি সাইক্লোণ সেল্টারে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আমতলী উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী অফিস সুত্রে জানাগেছে, সুপার সাইক্লোণ আম্পান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১শ ৫০ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপকুলের আমতলী ও তালতলীতে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অঅমতলীর পায়রা নদীতে ১০-১৫ ফুট জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বুধবার পায়রা নদীতে বীপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পারি প্রবাহিত হওয়ায় অনেক নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে পানি উন্নয় বোর্ড বরগুনার প্রকেীশলী নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে দমকা বাতাস, আর ভারী বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপকুলের মানুষ মঙ্গলবার রাত থেকে সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপকুলের আমতলী ও তালতলীতে এক’শ ১০টি সাইক্লোণ সেল্টারে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে আমতলীর ইউএনও মনিরা পারভীন ও তালতলী ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছেন। এদিকে উপজেলা প্রশাসন ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। দূর্ঘটনা এরাতে বুধবান সকাল থেকে আমতলী পায়রা নদীর ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমতলী চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোণ সেল্টারে তিন শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলেন জানান ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা। তালতলী উপজেলার গাবতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোণ সেল্টার, ফকিরহাট সাইক্লোণ সেল্টার, বগী সাইক্লোণ সেল্টার, আমতলী চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাইক্লোণ সেল্টার, আমতলী বন্দর মাদ্রাসা সাইক্লোণ সেল্টার ঘুরে দেখাগেছে সাইক্লোণ সেল্টারে সহ¯্রাধীক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। গাবতলী ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর টিম লিডার মোঃ ফারুক মোল্লা বলেন, গাবতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোণ সেল্টারে অর্ধ-শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকির হাট বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আবদুস ছালাম মিয়া বলেন, সাইক্লোণ সেল্টারে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম জানান, গুলিশাখালীর ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মাঝে রাতে খিচুরি বিতরন করা হবে। আরপাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান একেএম নুরুল হক তালুকদার জানান, ১২ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মাঝে রাতে খিচুরি, চিরা, মুড়ি ও শিশুদের মাঝে বিস্কুট বিতরন করা হবে। আমতলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আমতলী সদর ইউনিয়নের ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৫-১৬ হাজার মানুষ মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে। গতকাল রাতে
চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে খিচুরি বিতরন করা হয়েছে। আজ রাতেও খিচরি, শুকরা কভার বিতরন করা হবে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, ইতিমধ্যে উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের শুকনা খাবার, বুট মুড়ি ও খিচুরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমতলী উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্ততি কমসূচীর পরিচালক একেএম মাহতাবুল বারী জানান, আমতলীতে আম্পান মোকাবেলায় ১৭২৫ জন স্বেচ্ছা সেবক প্রস্তত রাখা হয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিার পারভীন বলেন, উপজেলার সাইক্লোন সেল্টারে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে শুকনা খাবার চিরা মুরি চিনি ও শিশুদের মধ্যে বিস্কুট বিতরন করা হয়েছে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
শেবাচিমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যহ্নত
উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীর মালিকানাধীন স্থানে ভোটকেন্দ্র নয়
২৫ মার্চ মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: শেখ হাসিনা
আগুণ বানিজ্য এবং মাদক ব্যবসা, সরকারি অর্গানগুলো দুর্নীতিমুক্ত করা প্রয়োজন
পাইকারি বাজারে তরমুজ পিস হিসাবে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে