বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় মোট ৩০৮ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ১১৭ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে ভোলা ও বরগুনা ব্যতীত চার জেলায় ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যার মধ্যে পটুয়াখালীতে ছয়জন, ঝালকাঠিতে পাঁচজন, বরিশালে চারজন ও পিরোজপুরে তিনজন রয়েছেন।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১২ হাজার ৮৩০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১২ হাজার ৫১ জনকে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৭৭৯ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬৯৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৪২৮ জন। এরই মধ্যে ২৪৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ১২৫ জন, পটুয়াখালীতে ৪০ জন, ভোলায় ১৭ জন, পিরোজপুরে ৪৪ জন, বরগুনায় ৪৯ জন ও ঝালকাঠিতে ৩৩ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে গোটা বিভাগে ১১৭ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরই মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে একজন, নলছিটিতে একজন, পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় একজন, মির্জাগঞ্জে একজন, দুমকিতে একজন, বরগুনার আমতলীতে একজন ও বেতাগীতে একজনের মৃত্যুর হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে সাতজন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)