AmaderBarisal.com Logo

ভোলায় মেঘনার ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অসংখ্য ডুবোচর


আমাদেরবরিশাল.কম

২৯ জুলাই ২০২০ বুধবার ৭:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন

অচিন্ত্য  মজুমদার,ভোলাঃ

বর্ষা মৌসুমেও ভোলার মেঘনা নদীর ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চর জেগে উঠার কারণে  নৌ চলাচলে মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ডুবো চরের কারণে মাছ শিকার করতে গিয়েও বিরম্বনার শিকার হচ্ছে জেলেরা। এছাড়াও একই কারণে নদীর গতিপথ পাল্টে স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে একদিকে যেমন নদী ভাঙ্গনের সম্ভবনা রয়েছে অন্যদিকে বেশ কিছু পয়েন্ট দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। এ অবস্থায় ডুবোচর গুলোকে কেটে ড্রেজিং করার দাবী ভুক্তভোগীদের। তবে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।  

সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা, কাচিয়া ও ধনিয়সহ মেঘনা নদীর এখনো রয়েছে অসংখ্য ডুবচর। বিশাল জলরাশির বুকে ক‚ল ঘেঁষে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এসব ডুবোচর। জোয়ারের সময় দেখা না গেলেও ভাটায় স্পষ্ট হয় এর দৃশ। আর এসব চরের কারণে নদীর ক‚ল ঘেঁষে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ার নৌ যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি এসব এলাকায় জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌ যান। শুধু তাই নয়, ডুবো চরের কারণে মাছ শিকারের গিয়েও বিপাকে পড়ছেন জেলেরা।

এসময় কথা হয় সাজু মাঝি, বাবুল মাঝি ও ফেলান মাঝিসহ বেশ কয়েক জন সজেলের সাথে। তারা জানান, নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে নৌকা চরে আটকে যায়, অনেক সময় আবার জাল আটকে ছিড়ে যায়। কোথায় চর রয়েছে আর কোথায় চর নেই সেটা বুঝা যায় না। বেশীরভাগ এলাকায় এ অবস্থা।

কাচিয়া ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, নদীতে ডুবোচরের  কারনে নৌ যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বাধও ঝুকির মধ্যে পড়েছে, কারন জাহাজগুলো তীর ঘেষে যাওয়ায় ঢেউয়ে বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

কাচিয়া ও ধনিয়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, শীত মৌসুমে ডুবোচর থাকলেও এখন বর্ষায়ও সেই ডুবোচর। উজান থেকে পানির সাথে আসা পলি মজে সৃষ্টি হয়েছে ডুবোচর । এসব চরের সাথে টেউ বারী খেয়ে স্রোত আগাত হানছে ক‚লে। এতে ভোলা শহর রক্ষাবাধের বিভিন্ন জায়গায় ভাংঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।

নদীর ঢেউ চরে বাধগ্রস্থ হয়ে পাল্টে গেছে নদীর গতিপথ। এতে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে নদীর কূলে আছড়ে পড়ছে স্রোত। আর তাই একদিকে যেমন নদী ভাঙ্গনের সম্ভবনা রয়েছে অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্ট। তাই নদীতে ড্রেজিংয়ের দাবী এলাকা বাসীর।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আব্দুল মান্নান খান জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সাথে আসা পলির কারণে নদীতে ডুবো চরের সৃষ্টি হয়েছে। জেলার সদরের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচর রয়েছে। পুরো জেলায় ৩৬ কিলোমিটার এলাকায় ডুবোচর ডেজিংয়ের একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেটি অনুমোদন হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।



সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।