প্রচ্ছদ » আমতলী, বরগুনা » আমতলীতে শিশু বলাৎকারের বিচার ১ ঘা জুতাপেটা ও ১ হাজার টাকা জরিমানা
২ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার ২:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
আমতলীতে শিশু বলাৎকারের বিচার ১ ঘা জুতাপেটা ও ১ হাজার টাকা জরিমানা
জাকির হোসেন,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আমতলীতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর বলাৎকারের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে এক ঘা জুতা পেটা ও ১ হাজার টাকা জরিমানা। এ মূল্য নির্ধারন করেছেন বলাৎকারের নায়ক শাহজাহান মৃধার বড় ভাই প্রভাবশালী রফিক মৃধা। ঘটনা ধামা চাপা দিতে উঠে পরে লেগেছে ওই প্রভাবশালী পরিবারটি। মামলা না করার জন্য শাসাচ্ছে ওই তারা। তাদের ভয়ে মামলা করার সাহস পাচ্ছে না বলাৎকারের শিকার শিশুর পরিবার। বলাৎকারের শিকার শিশুর পরিবার ও স্থানীয়েদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর মঙÍলবার দুপুরে পূর্বচিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী (১০) তার নিজ বাড়ির পাশের একটি মাঠে খেলা করছিল। এসময় ওই একই গ্রামের কাসেম মৃধার ছেলে শাহজাহান মৃধা (৫০) ওই স্কুল শিক্ষার্র্থীকে ডেকে পাশের একটি নির্জন ধান ক্ষেতে নিয়ে মুখে গামছা ঢুকিয়ে বলাৎকার করে। ছেলেটি বাড়ি এসে এঘটনা তার বাবা মাকে জানায়। ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে তার বাবা ছেলেটিকে রক্তাত্ব অবস্থায় স্থানীয় নোমর বাজারের পল্লী চিকিৎসক নিখিলেশ এর চেম্বারে নিয়ে চিকিৎসা করান। শাহজাহানের পরিবারটি স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী। তারা এ ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে । তারা বলাৎকারের শিকার শিশুর পরিবারটিকে এঘটনা কাইকে না জানানো এবং মামলা না করার জন্য শাসায়। মামলা করা হলে তাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দেয় পরিবারটিকে। পরের দিন বুধবার রাতে শাহজাহানের বড় ভাই স্থানীয় প্রভাবশালী রফিক মৃধা তার বাড়িতে এক শালিসের মাধ্যমে শাহজাহানকে ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং এক ঘা জুতাপেটা করে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্ত সালিশের এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না বলাৎকারের শিকার শিশুর পরিবারটি। এলাকা ছাড়া করার হুমকির ভয়ে তারা মামলাও করতে সাহস পাচ্ছে না ওই প্রভাবশালী পরিবারটির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শাহজাহান মৃধা বলাৎকারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলাৎকারের শিকার শিশুটির বাবা কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, প্রভাবশালী শাহজাহান মৃধা মোর পোলাডারে ধান ক্ষ্যাতে নিয়া মোহে গামছা দিয়া খারাপ কাম করছে। পোলাডার অবস্থা খারাপ দেইখ্যা ডাক্তার দেহাইছি। হের পর অরা মোরে মামলা না করার জন্য ভয় দেহায়। মুই গরীব
মানু অগো ভয়তে মামলা হরতে পারি নাই। মামলা করলে মোরে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় শাহজাহানের বড় ভাই রফিক মৃধা সালিশ হরছে। হে মোরে ১ হাজার টাহা দিছে। আর শাহজাহানকে একটা জুতার বাড়ি দিছে। মুই হেই টাহা আনি নাই। মুই এইয়ার বিচার চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, শাহজাহান মৃধা খারাপ প্রকুতির লোক। সে পূর্বেও এ ধরনের আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেই সাহস করে কিছু বলতে পারে না। সালিশদার ও শাহজাহানের বড় ভাই রফিক মৃধা জানান, সালিশির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কিছু জানি না। আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. হেলাল উদ্দিন জানান, এব্যাপারে অভিযোগ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন অবস্থাতেই ছার দেওয়া হবে না।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
ভ্যাকসিন নিলেন শেখ রেহানা
দেশের যে কোন পরিবর্তনে যুব সমাজের ভূমিকা অগ্রগামী: পীর সাহেব চরমোনাই
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার