চরফ্যাশনে নির্মাণাধীন মার্কেট নিয়ে ষড়যন্ত্র ও হয়রানির অভিযোগ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:
নির্মাণাধীন মার্কেটের জমি নিয়ে দির্ঘ দিন ধরে ষড়যন্ত্র ও মামলা হামলার ভয়ভিতীসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। চরফ্যাশন উপজেলার পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড সদর রোড সংলগ্ন জিন্নাগড় মৌজার এসএ ৪৮০নং খতিয়ানের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ কর্তৃক ঘর উত্তলনে বাঁধার চেষ্টাসহ হামলার ভয়ভিতী দেখিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী মেহেদী হাসান রাজিব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অত্র ৪৮০ নং খতিয়ানের ১২৮০ এবং ১২৮৩ নং দাগে ৫৬ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক আমি। ওই খতিয়ানের জমি মৃত হাজী আরমান আলীর ছেলে আবদুল মতলব,মেয়ে সুফিয়া ও জামিনাসহ আবদুল মতলবের ছেলে মেয়েগণ ও অন্যাণ্য ওয়রিসরা মোট ৫৬শতাংশ জমি আমার কাছে বিক্রী করে। ৪৮০নং খতিয়ানের জমির মূল মালিক আবুল হাসেম মাস্টারের মৃত্যুর পরে তার পিতা হাজি আরমান আলী ও তার মা আছিয়া খাতুন মৃত পুত্রের জমির ৮৩ শতাংশের মালিক হন।তাদের মৃত্যুর পরে তার ছেলে আবদুল মতলব,মেয়ে সুফিয়া ও জামিনা রাজিবের নিকট ১২৮০ এবং ১২৮৩ নং দাগের ৫৬ শতাংশ জমি বিক্রয় করে বলে তিনি জানান। রাজিব আরও বলেন, জিন্নগড় মৌজায় আমার ওই জমির তৌজি নং ৩৪,জেএল নং ৮৪ নামজারী খতিয়ান নং ৩৭৩৩ এবং ৩৪১৪ নং খতিয়ানে ১২৮০,১২৮৩ নং দাগে (৩১.৭২ +৮.৫১) = ৪০.২৩ শতাংশ জমিতে প্রতিপক্ষ গ্রæপ আবুল হাসেম মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম,সামছুল আলম ও হোসেন রত্তনসহ তাদের স্বজনরা মিলে আমাকে বেদখল করতে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমার ক্রয়কৃত রেজিস্ট্রিভূক্ত এবং পরবর্তীতে রেকর্ডকৃত ও চৌহদ্দিভূক্ত ওই জমিতে দোকানঘর নির্মান করে দির্ঘদিন ভোগদখল করে আসছি। সম্প্রতী তারা আমাকে বেদখল করার পায়তারা করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এছাড়াও গত বছরের জানুয়ারির ২৮ তারিখে দোকানঘরে তারা লোকজন ও দলবল সহকারে হামলা করে। হামলায় তাদেও বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা করি যার নং ১৭/১৭। এছাড়াও তাদের ওয়ারিসগণ নজরুল ইসলাম জুয়েল সোলায়মান ফয়সালসহ অন্যান্যরা মিলে আমার দোকানভিটি ও দেয়াল ভাংচুর করে। রাজিব আরও বলেন,প্রতিপক্ষরা আমার ওই জমি আত্মসাৎ করার জন্য হাজি আরবান আলির পরিবর্তে অন্য লোক দাড়া করে একটি ত্রুটিপূর্ণ দলিল তৈরী করে। যা ভোলা সদর সাব রেজিস্ট্রিরী অফিসে দলিল নং ৫৪৪৬ তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ৮৪। প্রতিপক্ষ গং সহকারী কমিশনার ভূমি চরফ্যাশন অফিসে ২১৪৮এফ/১১-১২ নামজারি করে বিষয়টি গোপন রাখে। তাদের এ জাল দলিলে এস এ ৪৮০ নং খতিয়ানের দাগ উল্লেখ করা ১২৮০,১৮৮৩। তবে বিতর্কীত ওই দলিলের খতিয়ানে উল্লেখীত মালিক ও জমির কোনো অস্তিত্ব নেই।
সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট কোর্ট চরফ্যাশনের প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদনে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী গোয়েন্দা অফিসার এসআই আবু জাফরেরর দাখিলকৃত এক প্রতিবেন সূত্রে জানা যায়, বিতর্কীত ওই ৫৪৪৬ নং দলিলের ২২-০৯- ১৯৮৪’র সহকারী কমিশনার ভূমি চরফ্যাশনের নামজারী সংক্রান্ত প্রেরিত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমী আশিষ কুমার জানান, ২১৪৮এফ/১১-১২ নামজারী মোকদ্দমা উপজেলা ভূমি অফিসেও সংরক্ষিত নেই।
এছাড়াও জিন্নাগড় মৌজার ৪৮০ খতিয়ানের দাগ নং উল্লেখ থাকলেও ১৮৮৩ কাগজ পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় ১২৮৩। যা মেহেদী হাসান রাজীব জমির মালিক মৃত আবুল হাসেম মাস্টারের মৃত্যুর পরে পিতা মৃত আরবান আলী ও মাতা মৃত আছিয়া খাতুনের ৮৩ শতাংশের মালিকানায় তাদের ছেলে আবদুল মতলব ও মেয়ে সুফিয়া এবং জামিনা ৬৬ শতাংশ জমির মালিক হলে তারা ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ২৪৪৬ নং মূল দলিলসহ মোট ৮টি দলিলে ১২৮০ও ১২৮৩ নং দাগে ৫৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমি ক্রয় সূত্রে মেহেদী হাসান রাজিব তার নামে উল্লেখীত কাগজপত্র ও দখল পজিশনে থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালতে প্রতিপক্ষের প্রিয়েমশন নং ১৪/১৯ মোকদ্দমাটি চরফ্যাশন আইনজীবী সমিতির বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতের বিদ্যমান স্থিতাবস্থার আদেশটি পর্যালোচনা করে বলেন, অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বর্ননা করেন যে, অত্র মামলায় বিরধীয় সম্পত্তীর চৌহদ্দীর বাহিরে কোন সম্পত্তীর উপর স্থিতাবস্থা কার্যকর নয়। এছাড়াও পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে মেহেদী হাসান রাজীবের ক্রয়কৃত জমির ৪০.২৩ শতাংশ জমিতে ঘর নির্মানে আইনগত বাঁধা নেই। কারণ বিগত ৯/৫/১৯ ইং তারিখের ২০৮১ ,২০৮২,এবং বিগত ২৩/৪/১৯ ইং তারিখের ২৪৪৬ এবং বিগত ৩০/৮/১৯ ইং তারিখের ২৬৪৩ এবং বিগত ২৯/৫/১৯ ইং তারিখের ৩১১৮/৩১১৯ নং দলিলের চৌহদ্দি আলাদা আলাদা।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশালে জমিসহ ঘরের কাগজ পেয়ে খুশী ১০০৯ পরিবার
চরফ্যাশনে ১২কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্যাংক ম্যানেজার রেজাউলের বিরুদ্ধে
ভোলায় ৫২০ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন প্রধান মন্ত্রীর উপহার