হিজলার মেঘনা নদীতে জাহাজ থেকে তৈল চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭। প্রত্যেকে হিজলা হাসপাতালে ভর্তি। থানায় লিখিত অভিযোগ। মামমলা নেয়নি পুলিশ। ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে হিজলার বাউশিয়া এলাকার মেঘনা নদীতে দুলাল মুন্সী(বেপারী), মন্নান বয়াতি, শাকিল বেপারী, সালাউদ্দিন বেপারী, আক্তার হাওলাদার, হাচন ফকির, আবুল খা, বারেক মুন্সিসহ একাধিক ব্যাক্তি জাহাজ থেকে তৈল চুরি করছিল। বিষয়টিতে বাধসাধেন স্থানীয় মন্নান বয়াতি। ১০ থেকে ১২টি ট্রলার থেকে মাছ এবং তৈল চুরির সরঞ্জাম নিয়ে আসেন মন্নান বয়াতি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৈল চোরদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে আহত হন সালাউদ্দিন বেপারী, সালাউদ্দিন পুত্র শাকিল বেপারী, দুলাল মুন্সি বেপারী, জব্বার খার স্ত্রী মাহিনুর, আক্তার হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা, দুলাল বেপারীর কণ্যা রাবেয়া সহ একাধিক ব্যাক্তি। তারা প্রতেকে হিজলা হাসপাতালে ভর্তি। আক্তারের স্ত্রী ফাতেমা জানান মন্নান বয়াতি ট্রলার থেকে ২৬টি তৈলের ড্রাম নিয়ে আসে। ঐ ড্রামগুলো নিজেই আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয় আলোচনরা করতে গেলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। দুলাল মুন্সি বেপারী জানান তিনি নিজেও নদীতে জাহাজ থেকে চোরাই তৈলের ব্যবসা করেন। বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জানান- নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে বিরোধ হয়। মাহিনুর জানান, দুলাল বেপারী, মন্নান, বারেক এরা নিয়মিত নদীতে জাটকা ইলিশ এবং জাহাজের তৈল চুরি করে আসছিল। ঘটনার দিন নদী থেকে মন্নান নিজে তৈলের ড্রাম নিয়ে আসে। ঐ গুলো নিজে আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। কোনকিছু বুঝার আগেই তার উপর হামলা চালায় দুলাল বেপারী, বারেক বেপারী, মন্নান সহ একাধিক ব্যাক্তি। স্থানীয় সচেতন মহল দাবি, বছরের পর বছর ধরে কোষ্টগার্ডের নাকের ডগায় জাহাজ থেকে তৈল চুরি করে আসছিল দুলাল মুন্সী(বেপারী), মন্নান বয়াতি, শাকিল বেপারী, সালাউদ্দিন বেপারী, আক্তার হাওলাদার, হাচন ফকির, আবুল খা, বারেক মুন্সিসহ একাধিক ব্যাক্তি। বিষয়টি কোষ্টগার্ডের অজানা থাকার কথা নয়। এর পরেও কেন তারা এর প্রতি নজর দিচ্ছে না। মন্নান বয়াতির সাথে আলাপকালে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)