ঝালকাঠিতে কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে শিল্পীকে মারধরের অভিযোগ
মোঃ আঃ রহিম রেজা,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার (সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা) মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে শিল্পীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মারধরের স্বীকার শিল্পী মনির হোসেন মল্লিক। তিনি ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমীতে (আউট সোর্সিংয়ে) সহায়ক পদে কাজ করছেন।
মনির হোসেন মল্লিক লিখিত অভিযোগে জানান, গত ১৯ ফেব্রæয়ারী শিল্পকলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনে উপস্থিত অতিথি ও দর্শনার্থীদেরকে নাস্তা দিতে বলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাসান।
নির্দেশনা অনুযায়ী নাস্তা দিতে শুরু করলে কালচারাল অফিসার মো. আল মামুন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তার কাছে গেলে চর-থাপ্পর মারে এবং অশালীন-অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। অনুষ্ঠান শেষ হলে তিনি ডেকে নিয়ে ৪টি চাবি রেখে তাড়িয়ে দেয় এবং বলে পরে শিল্পকলা একাডেমী ভবনের চারিপাশে দেখলেও হাত- পা গুড়িয়ে দিবে।
শিল্পকলা একাডেমী ভবনের সিসি ক্যামেরায় কালাচারাল অফিসারের এ কর্মকান্ড ধারণ করা রয়েছে। শিল্পী মনির জানান, কিশোর বয়স থেকেই সংগীত জগতের সাথে জড়িত। প্রায় ২০বছর ধরেই বিভিন্ন ধরনের সংগীত পরিবেশন করছি। বেসরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হওয়ায় কয়েক ডজন পুরুস্কার রয়েছে। বাংলার সারেগামা অনুষ্ঠানে সেরা ১০জনের মধ্যে নির্বাচিত শিল্পী। শিল্পকলা একাডেমী ভবন উদ্বোধন থেকে শুরু করে ৮বছর ধরে এখানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জেলার সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করায় সাংস্কৃতিক বিস্তারে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। বিনা কারণে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করায় জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা মো. আল মামুনের কঠোর বিচার দাবী করেন মনির।
১৯ ফেব্রæয়ারী শুক্রবারের ঘটনায় সরকারী ছুটি থাকায় ২২ ফেব্রæয়ারী সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে এ অভিযোগ জানানো হয়।
অভিযোগে জানা গেছে,কালচারাল অফিসার বিভিন্ন সময় শিল্পীদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার, স্থানীয় শিল্পীদের অমূল্যায়ন করা, বাহিরে শিল্পী ও বাদ্যশিল্লী এনে তাদের নামে অতিরিক্ত বাউচার করে আর্থআত্মসাত করাসহ নানা অভিযোগ র্দীর্ঘদিনের।
ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা মো. আল মামুন মারধর ও গালির বিষয় অভিযোগসহ সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মনির মল্লিক নৈশ প্রহরী (আউটসোসিং) পদে কর্মরত। শিল্পকলার সামনের বাল্বসহ বেশ কিছু মালামাল কয়েকদিন ধরে খুজে পাচ্ছি না। তাকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। হলরুমের মধ্যে অনেক ময়লা-আবর্জনা রয়েছে। সেগুলো পরিস্কার করতে বললে আমার মুখে মুখে তর্ক করে বাইরে চলে যায়। এখন বিভিন্ন স্থানে নালিশ করতেছে। যা নিয়ে আমি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, মনির মল্লিক নামে একজনের অভিযোগ পেয়েছি। খোজ নেয়া হচ্ছে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশালে পোশাক বিতানে হামলা-ভাঙচু্রের ঘটনায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
বিদ্যাসাগরই নারীদের ঘোমটার আড়াল থেকে বের করে আসেন
বরিশালে পোশাকের শোরুমে লুটপাট, আটক ৫
৭ মার্চের ভাষণই প্রকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী