ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী ক্ষেত ফুলে ফুলে ভরে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে ফসলের মাঠ জুড়ে হাসছে সূর্যমুখী ফুল। এরই মধ্যে সূর্যমুখীর হাসিতে ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেসূর্যমুখী চাষ শুরু হয়েছে। সে লক্ষ্যে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কৃষককে সার ও বীজ বিতরণের মাধ্যমে এবার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় প্রায় ৭৬ হেক্টর জমিতে আরডি এস জাতের সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে শুরুতেই সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। যদি কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে সুর্যমুখী চাষ করে লাভ করতে পারবেন।
পৌরসভার সারদল এলাকার কৃষক হেলাল তালুকদার জানান, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবং কৃষি পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সূর্যমুখীর বীজ ও সার পেয়ে ৩৩ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। বর্তমানে সুর্যমুখী ক্ষেতে ফুল আসতে শুরু করেছে। এমন পরিবেশে সূর্যমুখী ফুল অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকেই সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আবার অনেকেই ক্ষেতে ছবি তুলছেন।
গবেষকরা বলছে, সূর্যমুখী একধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। সূর্যমুখী গাছ লম্বা ৩ মিটার (৯.৮ ফু) হয়ে থাকে, ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর এরূপ নামকরণ। এর বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয় ৷ তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হ হয় ।সমভুমি এলাকা হয় শীত ও বসন্তকালে,উঁচু লালমাটি এলাকা হয় বর্ষাকালে ও সমুদ্রকুলবর্তী এলাকায় শীতকালীন শস্য হিসাবে চাষ করা হয়।
১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী একটি তেল ফসল হিসেবে বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে বরিশাল, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, নাটোর জেলা, পাবনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাংগাইল প্রভৃতি জেলাতে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখীর তেল ঘিয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা বনস্পতি তেল নামে পরিচিত।এই তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে ভাল এবং হৃদ রোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি জানান, সূর্যমুখী অতিপরিচিত একটি ফুল। এর তেল গুনে ও মানে অতুলনীয়। এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষ শুরু হয়। এ উপজেলায় কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় এবার ৭৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে সূর্যমুখী ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
শের-ই বাংলা মেডিকেলের নতুন পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম
রমজানের চাঁদ দেখা গেছে, কাল রোজা
বরিশালে ডায়রিয়ার প্রকোপ
করোনা: জেলায় নতুন শনাক্তের বেশিরভাগই বরিশাল নগরের
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে আরও ৫১ জনের করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু ৯ জনের