প্রচ্ছদ » বরিশাল, হিজলা » মেঘনার কড়াল গ্রাসী খেলায় হিজলার বাউশিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে গেল একটি বিদ্যালয়-অপেক্ষায় ৩
১৮ এপ্রিল ২০২১ রবিবার ৭:৪১:৩৮ অপরাহ্ন
মেঘনার কড়াল গ্রাসী খেলায় হিজলার বাউশিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে গেল একটি বিদ্যালয়-অপেক্ষায় ৩
সাইফুল ইসলাম,হিজলা থেকেঃ
অবশেষে বরিশালের হিজলা উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের মেঘনা পারের আলোচিত বিদ্যালয়টির শেষ রক্ষা হলো না। মেঘনার তান্ডবে নিলামে উঠতে হলো তাকে। অপেক্ষায় আরও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অসময়ে হিজলার মেঘনার তান্ডবের খেলা। নানা ঘটন-অঘটনের মধ্যে চীর বিদায় নিতে হলো ঐতিহ্যবাহি হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার এর।
এবার অপেক্ষার পালা আরও তিন তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। হিজলা উপজেলা প্রশাসনও অসহায়।
বিগত বছর জুড়ে আলোচিত ছিল হিজলা উপজেলার ৪টি সাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেঘনার গর্ভে বিলীনের পথে। এর ই একটি বিদ্যালয় হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা ২০০০ সালে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছিল বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার হিসাবে। ১৮ এপ্রিল/২১ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এক স্বাক্ষরে নিশ্বেষ বিদ্যালয়টি। এখন উন্মুক্ত নিলাম ডাকে বিদ্যালয়টি।
এবারের পালা গ্রাম শুন্য। গ্রামটিতে এখনও ৫টি বিদ্য্যালয় বিদ্যমান। দক্ষিণ বাউশিয়া, দক্ষিণ পশ্চিম বাউশিয়া, উত্তর বাউশিয়া, মধ্য বাউশিয়া এবং হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর ই একটি হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত এক সপ্তাহের তান্ডবে একটি মসজিদ, হাট, পল্টুন, বরফকল, পুরাতন স্কুলঘর রাক্ষুসী মেঘনার পেটে।
ঐতিহ্যবাহি পুরাতন হিজলা বন্দরও বিগত বছরেই তলিয়ে গেছে মেঘনায়।মেঘনা পারের এই গ্রামটিতে ১০ বছর আগেও ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। ২০০০ সালের দিকে ২টি বিদ্যালয় মেঘনার তান্ডবে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয় ঐ সময়ে। এবার যাচ্ছে আরও একটি।
তবে স্থানীয়রা বলছেন একটি নয়। এ বর্ষায় হারিয়ে যাবে বাকি স্কুলগুলো। জনশূন্য হতে যাচ্ছে গ্রামটি। সরকার বার বার প্রতিশ্রæতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই করেননি সরকার বা কোন কর্তৃপক্ষ। ক’দিন আগেও মাইকিং হচ্ছিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬শ কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধ নির্মান হতে যাচ্ছে। তাও দেখছি গুড়ে বালি।
স্কুল রক্ষা বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঃগাফফার জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এক বছর আগে থেকেই আমরা মেঘনার পেটে ছিলাম। আর পারছি না। স্কুল কমিটি নিয়ে আলোচনা করেই ভাঙ্গার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, আর কত অপেক্ষা। সরকারের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে একটা প্রকল্পের কথা শুনেই ভরসা পাচ্ছিলাম। আর পারছি না। তাই ভাঙ্গার ব্যবস্থা। এখন বাউশিয়া গ্রামে প্রমত্তা মেঘনার পাড়ে ও আরও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে বিপদে রয়েছি।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
ট্রাকচাপায় নিহত ১৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর
প্রচণ্ড গতিতে টোল প্লাজার গাড়িগুলোর ওপর আছড়ে পড়ল ট্রাক, নিহত ১৪
পিরোজপুর জেলা আ.লীগের নেতাকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুট
বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার সামাজিক মাধ্যমে পিস্তলের ছবি দিয়ে হত্যার হুমকি
ভূমিদস্যুদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের হুমকিদাতা কে এই পুলিশ কর্মকর্তা জামিল!