ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলার’ প্রভাবে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলছে । বৃষ্টিতে ভোগান্তি বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের।
সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। নদী তীরের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরের রাস্তা-ঘাটে বের হচ্ছে না কেউ।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিধিলা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। জেলায় ৪২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ৩৭টি মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৩ টি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। নগদ ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ৩৫০ মেট্রিক টন ত্রাণের চাল বিতরণের জন্য মজুত আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও পস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে নদী তীরের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলা’ মোকাবেলায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরি সভা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)