বরগুনা- ১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এক কর্মীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার ওই ভুক্তভোগীর নাম মো. রাজিব (২৬)। তিনি সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বুড়িরচর এলাকার মো. ইসমাইল ফকিরের ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভুক্তভোগী রাজিব বরগুনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান।মো. রাজিব বলেন, আমার বাবা, দাদা আওয়ামী লীগ করেন, পরিবারের সবার কাছেই আওয়ামী লীগ প্রিয়। আমিও আওয়ামী লীগের সমর্থন করি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময়ে বর্তমান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকুর সমার্থকরা নির্বাচনের সমর্থন নিয়ে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। এর একপর্যায়ে দোকানে থাকা একটি চায়ের কাপ ভেঙে পেছন থেকে আমার মাথায় আঘাত করে। এসময় আমি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মো. নজরুল, মো. নাঈম, মো. আউয়াল, মো. লাদেন শহিদ এবং সুমন এ পাঁচজনসহ আরও যারা জড়িত ছিল তাদেরকে আমি চিনি না।
বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাইনউদ্দিন ময়না বলেন, মনোনয়নপত্র পাওয়ার পরে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বরগুনায় আগমনে তাকে স্বাগত জানাতে যাই। এ সময় রাজিব আমাদের সঙ্গে যায়। এর পর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকুর কর্মী-সমার্থকরা তাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধমকি দেয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় আমজাদ মার্কেট নামক এলাকার একটি চায়ের দোকানে রাজিবের ওপর হামলা ও মারধর করেন ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমার্থকরা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, আমি বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় ওই এলাকায় আমার কর্মী সমার্থক বেশি। তারা প্রতিদিনের মতো চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা জানতে পেরে আমি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এ ঘটনাকে এখন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর এক কর্মীর মাথায় ব্লেড দিয়ে কেটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করব। এছাড়া তিনি আরও বলেন, অভিযোগটি আমরা নির্বাচন অনুসন্ধানী কমিটির কাছে পাঠাব। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশাল শেবাচিমসহ দুই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক