আসামিরা হলেন- বরিশাল নগরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড রাঁড়ি বাড়ির মোতালেব হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন খোকন ও তার ভাই মো. রোকন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, মিলন আকনের অজ্ঞাতে তার স্ত্রী ও কিশোর ছেলেকে আমেরিকা নিয়ে ভালো বেতনে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেয়া হয়। প্রলোভনে সাড়া দিয়ে রাজি হয় স্ত্রী ও ছেলে।
তিনি আরও জানান, বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত ২৩ মার্চ জরুরি কাজে তিনি ঢাকা যান। ঢাকা গিয়ে স্ত্রী ও ছেলের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পান। পরে প্রতিবেশীকে খবর নিতে বাসায় পাঠান। প্রতিবেশী বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে জানালে তিনি ঢাকা থেকে ফিরে আসেন। বাসায় ফিরে এসে দেখতে পান ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, কাপড় ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ স্ত্রী ও সন্তান নেই।
তুহিন মোল্লা আরও জানান, গত ২৬ মার্চ ১৬ বছর বয়সী সন্তান ফিরে এসে জানায়, আমেরিকা নেওয়ার কথা বলে তাদেরকে বেনাপোল দিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটেলে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে তাদের আটকে রাখা হয়। পরে তার মাকে পতিতাবৃত্তি করতে মারধর করে। ছেলে প্রতিবাদ করলে তার হাত পা ভেঙে ভিক্ষা বৃত্তিতে নামানোর হুমকি দেয়। এরপর ছেলে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে আসে।
বাদীর ভুক্তভোগী স্ত্রী বর্তমানে ভারতে অজ্ঞাতস্থানে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
পায়রা সমুদ্র বন্দর অর্থনীতির বিষফোঁড়া: পরিকল্পনা উপদেষ্টা