নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের হাতে প্রভাষক লাঞ্চিত জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি
ফুলের তোড়া দিতে গিয়ে ঝালকাঠি কাঁঠালিয়া আ’লীগ সমর্থিত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফারুক সিকদার ও সমর্থকদের কাছে লাঞ্চিত হয়েছে মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক তপন চন্দ্র হালদার।
ভোটের দিন আনলবুনিয়া সেন্টারে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে ফারুক সিকদারের অবৈধ নির্দেশ পালন না করায় উক্ত প্রভাষককে অকথ্য গালাগাল ও লাঞ্চিত করেন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে এঘটনার সময় মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক প্রভাষক জানায়, কাঠালিয়া মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মাহাতাবসহ সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফরুক সিকদারকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে যান।
প্রভাষক তপন চন্দ্র হালদারের হাতে ধরা ফুলের তোড়াটি অধ্যক্ষ সহ অন্যান্যরা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার হাতে তুলে দেয়ার সময় আকস্মিক প্রভাষক তপনকে গালাগাল শুরু করেন। এসময় উপস্থিত চেয়ারম্যানের সমর্থকদের কাছ থেকে প্রভাষক তপনকে রক্ষা করতে সহকর্মীরা রুমের বাইরে নিয়ে যান।
এ সময় উত্তেজিত উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার ভোটের দিন আনলবুনিয়া সেন্টারে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে প্রভাষক তপন চন্দ্র তার সাথে বেয়াদবি করেছে বলে জানান। ঘটনার সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোটভাই কাঠালিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান কিবরিয়া সিকদারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মোঃ মাহাতাব উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন ও সেখানে কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেন। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভানিং বডির অধীনে চাকরি করেন উল্লেখ করে চর-থাপ্পরে বিষয়টি অস্বীকার করে ‘সামান্য উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা পরিস্থিতিটি মিনিমাইজ করার চেষ্টা করছি’ বলে জানান।
এ বিষয়ে প্রহৃত প্রভাষক তপন চন্দ্র হালদারের সাথে আলাপকালে জানান, আমি বর্তমানে খুবই অসুস্থ ও প্রেসার বেড়ে গেছে। আপনার কোন প্রশ্নের জবাব এমূহূর্তে আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। এক পর্যায়ে বিভিন্ন রকম অনুনয়-বিনয় করে ফোনটি রেখে দেন।
এ ব্যাপারে সেলফোনে চেয়ারম্যান ফারুক সিকদারের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার ছোট ভাই কিবরিয়া সিকদারের সাথে আলাকালে জানান, ঘটনার সময় আমি না থাকলেও পরে সেখানে এসে বিষয়টি শুনেছেন। আমার বড়ভাই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে সে তো পদত্যাগ করে প্রার্থী হননি। তিনি তো সবার কাছেই সম্মান পাবেন, কিন্তু প্রভাষক তপন তাকে সম্মান দেয়নি। আর প্রভাষক তপন বিএনপির লোক, সে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তার হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে সেখানে আসেন। সেখানে উপস্থিত শিক্ষদের মধ্যেও দল আছে, গয়েশ্বর রায়ের মতো উক্ত প্রভাষক কাঠালিয়ার গয়েশ্বর।
সম্পাদনা: বরিশাল ডেস্ক |