ভান্ডারিয়ায় উদ্ধার হওয়া সেই লাশের পরিচয় মিলেছে জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ৪ নং ইকরি ইউনিয়নের বোথলা গ্রামের কচা নদীর বাধ বেরির পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম হাসিনা বেগম (৩০)। বৃহস্পতিবার লাশের কাছে পাওয়া মুঠোফোনের কললিষ্টের সুত্র ধরে তার পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত হাসিনা বেগম ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার হরিয়াগাই গ্রামের মোঃ ওসমান সেখের কন্যা। সাত বছর পূর্বে পটুয়াখালী জেলার আউলীয়াপুর গ্রামের মৃত-হাফিজ হাওলাদারের পুত্র মোজাম্মেল ওরফে বাদলের সাথে হাসিনার বিয়ে হয়েছিল। তাদের ঘরে লাভলী নামের সাত বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। হাসিনার স্বামী ঢাকা শহরে বাড্ডা এলাকায় অপর এক স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
নিহত হাসিনার ভাই আঃ কাদির জানান, হাসিনা ঢাকার টঙ্গি এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিল। নিজ সন্তানকে মায়ের কাছে রেখে টঙ্গির এক বাসায় একাই বসবাস করতেন। গত ১২ এপ্রিল শনিবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল। হাসিনার স্বামী শ্বশুর ওসমান সেখ কে সেল ফোনে জানিয়ে ছিলেন আপনার মেয়েকে বরিশালে এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়েছি দশ হাজার পাওনা টাকা আনার জন্য। এরপর তারা আর কিছুই জানতেন না।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময় তার কাছে পাওয়া একটি মুঠোফোনের কল লিষ্টের সুত্র ধরে তার পরিচয় মিলেছে। পিরোজপুর জেলা মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের ভাই আঃ কাদির ও বোন রিজিয়া বেগমের কাছে বৃহস্পতিবার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আঃ কাদির বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হাসিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
সম্পাদনা: সেন্ট্রাল ডেস্ক |