সরকারি রাস্তা কেটে বীজ রোপণ! উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ
কাবিখা বিশেষ প্রকল্পের মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের আনছার আলী হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তাটি কেটে বীজ রোপণ করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ব্যপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০১-০২ অর্থ বছরে নির্মিত দক্ষিণ ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের বেপারি বাড়ি হইতে উত্তর পাতাবুনিয়া খাল হইয়া কপালভেড়া ভারানি খালের পারদিয়া আজাহার হাওলাদার বাড়ি প্রর্যন্ত প্রকল্পের আনছার আলী হাওলাদার এর বাড়ি উত্তর পার্শ্ব হতে প্রায় ২৫০ ফুট রাস্তাটি চলতি বছরের ৬ মে ফকর উদ্দিন ও তার লোকজন কেটে ফেলে।
জানাগেছে, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্ত করে নন এফআই করে কোর্টে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারধীন আছে।
তবে এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ফকর উদ্দিন দাবি করে জানান- আমাদের রের্কডিয় জমি তাই কেটে দিয়েছি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন-পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৩ সেপ্টম্বর শনিবার সকাল নয়টার সময় ফকর উদ্দিন ও তার লোকজন নিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের সরকারি রাস্তাটি কেটে আমন ধানের বীজ রোপণ করার পাশাপাশি সরকারি প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি এবং রাস্তার সামনে দিকে বাশেঁর খুঁটি দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে।
এতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচল করতে না পাড়ায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ওই এলকার প্রায় ১০টি বাড়ির লোকজন খাবার পানি আনেতে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করত। এখন তারা খাবার পানি আনতে না পেরে পুকুর কিংবা খালের পানি পান করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন- সরকারি রাস্তা কেটে এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সমাজের শত্রু। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাজেদ গোলদাকে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান বলেন এখানে কোন ঘটনা ঘটেনি এবং তার এরকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই।
অথচ শুনেছি এ বিষয়ে চেয়ারম্যান দু’পক্ষকে ডেকে শালিসি করার জন্য নোটিশও দিয়েছিলেন বলেন আনছার আলী।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মাজেদের মুঠোফেনে বারবার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদ বর্তমানে শূণ্য থাকার পাশাপাশি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |