লালমোহনে চারু ও কারু শিল্পের মুখোশ নির্মাণ কর্মশালা উপজেলা প্রতিনিধি, লালমোহন
ভোলার লালমোহনে চার দিনব্যাপী চারু ও কারু শিল্পের মুখোশ নির্মাণ কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। কর্মশালায় চারুকলার শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর দ্বি-বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ এর সহকারী সমন্বয়কারী শিল্পী সুজন মাহাবুব মুখোশ নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
লালমোহন নান্দনিক থিয়েটার সার্কেলের আয়োজনে করিম রোডস্থ লালমোহন মাল্টিমিডিয়া এন্ড কম্পিউটার ইন্সটিটিউটে মুখোশ নির্মাণ কর্মশালার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন- লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক রিপন শান, নান্দনিক থিয়েটার সার্কেলের সভাপতি মোঃ জসিম জনি, শিল্পী সুজন মাহাবুব। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তোলপাড় কৃষ্টি সংসার এর সাধারণ সম্পাদক তপতী সরকার, সাংস্কৃতিক কর্মী পাভেল হাসান, গ্রাফিক্স ডিজাইনার আসাদ মাহমুদ প্রমূখ।
সমাপনি ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভোলা জেলায় চারু ও কারু শিল্পের মুখোশ নির্মাণ কর্মশালা এই প্রথম লালমোহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ও অস্থিরতার মধ্যে লালমোহনে নান্দনিক থিয়েটার সার্কেলের এই ব্যতিক্রমী শৈল্পিক আয়োজনটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। এই কর্মশালার অংশগ্রহণকারী সকল বয়সের শিল্পকর্মীরা শিল্পের সুকুমার শিক্ষা দিয়ে আজকের রক্তাক্ত বাংলাদেশে ভালোবাসা ও শান্তির গোলাপ ফোটাতে চায়।
বক্তারা বলেন, একটি সুন্দর স্বদেশ বিনির্মাণে শিল্পের নিপুন চর্চার বিকল্প নেই। মুখোশ নির্মাণ সেরকম একটি শিল্পের কাজ। যে যুগে মানুষ পশু শিকার করে আহাড় নিবারণ করতো। শিকারের পূর্বে প্রাচীন যুগে গুহার গভিরে গিয়ে বাইসনের ছবি আঁকতো। এবং সেই বাইসনকে বাস্তবে আক্রমণ করার জণ্য বিভিন্ন পশু পাখির মুখোশ পড়ে বাইসনের খুব কাছে গিয়ে পাথর দ্বারা শিকার করতো। পরবর্তীতে সেই শিকারকৃত পশুর চারপাশে মুখোশ পড়েই বিভিন্ন পশু পাখির নাচ করতো। সেই পশুর মতো আওয়াজ করারও চেষ্টা করতো। সে ক্ষেত্রে বলাই যায় চিত্রধারার শিল্পের মাঝে মুখোশের তৈরি ও ব্যবহারও প্রাচীন যুগ থেকেই। আজো বাঙালিরা সেই মুখোশের ব্যবহার করে চলেছে বিভিন্ন উৎসবে ও পার্বনে। তার মধ্যে নববর্ষের কথা না বললেই নয়।
সম্পাদনা: বরিশাল ডেস্ক |