সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জলদস্যু নিহত, অস্ত্র উদ্ধার জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় জলদস্যুদের সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধে তিন জলদস্যু নিহত হয়েছে। এ সময় জলদস্যুদের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব-৮ বরিশাল। বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।
এসময় জলদস্যুদের আস্তানা থেকে একনলা ৯টি বন্দুক, ২টি এলজি, ১টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলিসহ ম্যাগাজিন ১টি, ৫৫রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- সাদ্দাম (২৭), সোহেল (২৫)। অপরজনের নাম জানা যায়নি। সাদ্দামের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হাড়িটানা গ্রামে ও সোহেলের বাড়ি একই উপজেলার পদ্মা গ্রামে।
র্যাব-৮ জানায়, সকাল ৭টা থেকে অভিযান শুরু করে ৮টা পর্যন্ত তাদের অভিযান চলে। ঘন্টাব্যাপি অভিযান চলাকালে শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে র্যাব সদস্যরা। নিহত ও পালিয়ে যাওয়া জলদস্যুরা সুন্দরবনের সাগর সৈকত বাহিনীর সক্রিয় সদস্য।
এসময় জলদস্যুদের আস্তানা থেকে একনলা ৯টি বন্দুক, ২টি এলজি, ১টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলিসহ ম্যাগাজিন ১টি, ৫৫রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গোলাবারুদ ও জলদস্যুদের লাশ বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
র্যাব ৮ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বরগুনার পাথরঘাটা, শরণখোলা এলাকায় বিপুল সংখ্যক জলদস্যু সক্রিয় বাহিনী তৈরী করে জেলেদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৮ উপ-অধিনায়ক আদনান কবিরের নেতৃত্বে ৩২ জনের একটি টিম পাথরঘাটা সংলগ্ন বলেশ্বর নদী ঘেষা সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় অভিযানে গেলে ১০ থেকে ১২ জনের একটি জলদস্যু টিম তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এমন সময় আমরা পাল্টা গুলি না চালিয়ে কৌশলে সুন্দবরনের ভিতরে ঢুকে গিয়ে জলদস্যুদের আস্তানার চার পাশ ঘিরে ফেলি এবং জলদস্যুদের আইনের কাছে আত্মসমর্পন করতে বলে। জলদস্যু বাহিনীরা টের পেয়ে গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায় ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হয়। বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সম্পাদনা: বরিশাল ডেস্ক |