চালক-হেলপার বললেন বাসে ডাকাত পড়েছিল! নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুর্ঘটনা কবলিত পটুয়াখালীর খেপুপাড়াগামী বাস সোনারতরী পরিবহনের আহত চালক ও হেলপার শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদের মধ্যে চালক জাকির হোসেনের বাড়ি খেপুপাড়া এলাকায়।
হেলপার মন্টুখানের বাড়ি ঝালকাঠী জেলা নলছিটি উপজেলায় রায়াপুরায়।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাস্টার মো. আবুল কালাম জানান, এখানে ভর্তি হওয়া চালক ও তার সহযোগির শরীরে যখমের চিহ্ন রয়েছে তবে গুরুতর নয়। তাদেরকে সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত চালক জাকির হোসেন জানান, বুধবার রাত সোয়া ১টার দিকে যাত্রীবেশী কয়েকজন ডাকাত তার কাছ থেকে চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রন নেয়ার চেস্টা করে।
সহসাই বাসের স্টিয়ারিং না দেয়ায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বুকে, মাথায় এবং হাতে কোপ দেয় এবং এক পর্যায়ে তারা বাসের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই বাসটি মহাসড়কের বামপাশে একটি গাছের সাথে সজোরে মেরে দেয়।
হেলপার মন্টু খান জানান, যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা বেশ কিছুক্ষন ধস্তাধস্তির পর চালককে কুপিয়ে চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রন নেয়। এ সময় তিনি প্রান বাঁচাতে বাসের পেছনের দিকে দৌড় দেন। এর ৫/৭ মিনিটের ব্যবধানে বাসটি দুর্ঘটনাকবলিত হয়।
এতে তিনি ছিটকে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে বরিশালগামী এইচ আলী পরিবহন নামে অপর একটি বাসে আহত চালক ও হেলপারকে বরিশাল এনে শেরেবাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন সহকর্মীরা।
বুধবার রাত ৮টায় ঢাকার রায়েনখোলা থেকে ছাড়ার পর বাসটি গাবতলী এবং নবীনগর কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলে। দুর্বৃত্তরা কোন জায়গা থেকে বাসে উঠেছিল তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি হেলপার মন্টু খান।
উল্লেখ্য রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সোনাতরী পরিবহনটি দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত এবং ২০ যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক |