বরিশালে মেডিকেলে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে উত্তেজনা নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ এবং জরুরী বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।
এ কারণে মঙ্গলবার (৫ মে) রাত ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত হাসপাতাল ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। প্রায় ৩ ঘন্টার উত্তেজনা চলার পর কলেজ অধ্যক্ষ এবং পুলিশের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মসূচী সাময়িক তুলে নেয় ছাত্রলীগের এক পক্ষের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল রাতে মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া রাফিকে সভাপতি এবং মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়লে পদ বঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মধ্য রাতে তারা রাফি ও তুহিনকে খুঁজতে থাকে এবং রাফির আবাসস্থল মেডিকেল কলেজের হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের (২ নম্বর হোস্টেল) ২০৪ নম্বর কক্ষের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে। হামলার আশঙ্কায় রাফি ও তুহিন আগেই ছাত্রাবাস থেকে সড়ে পড়েন ।
বিতাড়িত রাফি – তুহিন গ্রুপ দলবল নিয়ে মঙ্গলবার রাতে হোস্টেলে ঢুকতে চাইলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পদ বঞ্চিত ইমরান গ্রুপ সংঘটিত হলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় হোস্টেলে অবস্থানকারী গ্রুপ বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাস সংলগ্ন বান্দ রোড অবরোধ করে। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ সেখান থেকে তাদের উঠিয়ে দেয়।
পরে তারা শেরেবাংলা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে জরুরী বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয় এবং কলেজ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেয়। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জরুরী বিভাগের গেট বন্ধ থাকে।
পরে রাফি – তুহিন গ্রুপকে ঢুকতে দেয়া হবেনা, কোতয়ালী থানা ওসি’র এমন আশ্বাস এবং তাদের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে জরুরী বিভাগের গেট থেকে সড়ে যান তারা।
রাফি এবং তুহিনকে বুধবারের (৬ মে) মধ্যে কলেজ থেকে বহিস্কার না করা হলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ এবং মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন নবগঠিত কমিটির পদ বঞ্চিত কলেজের জামিলুর রহমান ছাত্রবাস ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. ভাস্কর সাহা আমাদের বরিশাল ডটকম’কে জানান, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্ধে একপক্ষ হোস্টেল ছাড়া। তারা কিছু লোকজন নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার চেস্টা করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। পুলিশের সহায়তায় তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে বিক্ষুব্ধদের জরুরী বিভাগের গেট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন আমাদের বরিশাল ডটকম’কে জানান, রাফি-তুহিন গ্রুপ কিছু লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার রাতে হোস্টেলে ওঠার জন্য আসলে বাঁধা দেয় কমিটি বিরোধীকারীরা। তারা হোস্টেলে ঢুকতে না পেরে চলে যায়। পরে ছাত্রলীগের অপর পক্ষ মিছিল নিয়ে মেডিকেল কলেজের সামনের বান্দ রোড অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সম্পাদনা: বরিশাল ডেস্ক |