অর্থসংকটে বরিশালে আদালতের সংস্কার কাজ বন্ধ নিজস্ব প্রতিবেদক
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া আদালত ভবন – ফাইল ছবি
তহবিলসংকটের কারণে বরিশালে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যাওয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আমলি আদালতের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদার। অগ্নিকাণ্ডের দুই মাস পরেও পুড়ে যাওয়া আদালতের টিনসেড ভবনটির টিনের ছাউনি দেয়া ছাড়া আর কোন কাজই হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, তহবিল না থাকায় ঠিকাদার কাজ করছে না।
ঠিকাদার মোঃ জিলানি চৌধুরী জানান, জেলা ও দায়রা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর মৌখিক নির্দেশে তিনি পুড়ে যাওয়া আদালত ভবনের সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। তবে তাকে কোন ধরনের অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। যতটুকু কাজ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণটা তার নিজের খরচে। বৃষ্টিতে যাতে আদালতের নথিপত্রের আরও কোন ক্ষতি না হয় এর জন্য শুধু টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া আদালত ভবন – ফাইল ছবি
তিনি জানান, অর্থ বরাদ্দের অভাবেই সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তাকে কোন টাকা না দেয়ায় কাজ অগ্রসর করা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতের সিলিং, দরজা, জানালা, দেয়াল, ফ্লোর ও স্যানিটারিসহ ব্যাহ্যিক কাজগুলো এখনো বাকি। এতে প্রায় দশ লাখ টাকার মত খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির জালাল আহম্মেদ আমাদের বরিশাল ডটকম’কে জানান, ভবন সংস্কার না হলেও আদালতের কাজ খুব সুন্দরভাবে চলছে। কোন সমস্যা নেই।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিস উদ্দিন সহিদ জানান, কি কারণে আদালতের সংস্কার কাজ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে তার সঠিক তথ্য তার কাছে নেই।
এ ব্যাপারে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মু. জাকির হোসেন আমাদের বরিশাল ডটকম’কে জানান, ‘ফান্ড নেই। তাই আদালতের কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার। ফান্ড না পেলে ঠিকাদার কাজ করতে রাজি নয়। এ অবস্থায় ফান্ড পেলেই ফের কাজ শুরু করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রাত সাড়ে নয়টার দিকে বরিশাল জজ কোর্টের পিছনের দিকের টিনসেড আদালত ভবনে রহস্যজনকভাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ভবনে থাকা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আমলি আদালতের এজলাসসহ বিচারকের খাস কামরা, দুইটি সেরেস্তা ও ভিপি দলিল রাখা একটি কক্ষ পুড়ে যায়। এতে প্রায় দুই হাজারের বেশি মামলার নথিপত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস থেকে আগুন লাগার প্রতিবেদনে ‘দুর্বৃত্তদের নাশকতা’র কথা উল্লেখ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালতে বিচারকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন এবং কোতয়ালি মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ২০ দলীয় জোটের দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, সম্পাদক এ্যাডঃ আবুল কালাম শাহীনসহ নামধারী ছয়জনসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ:
বরিশালের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ‘নাশকতার’ আগুন
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বরিশালে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বরিশাল আদালতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
সম্পাদনা: বরিশাল ডেস্ক |