প্রতিবাদি কিশোরী বাল্য বিয়ে ঠেকাতে পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা নিজস্ব প্রতিবদেক
কিশোরী বয়সে পরিবারের সদস্যরা বিয়ে দেয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি ও গ্রাম্য এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তানজিলা (১৪)।
বাল্যবিয়ে এবং চিকিৎসার নামে নির্যাতনের শিকার কিশোরী সোমবার সকালে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কিশোরী তানজিলা বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরিচন্না গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের কন্যা।
মামলার আসামীরা হচ্ছে তার বাবা মো: জাহাঙ্গীর খান, মা মোসা: হেলেনা, বোন জেসমিন, ভগ্নিপতি মো: মিলন ও গ্রাম্য ওঝা মোসা: সালমা। সোমবার সকালে পুলিশ তার বোন জেসমিন বেগম ও ভগ্নিপতি মো: মিলনকে গ্রেফতার করেছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তানজিলা জানায়, ‘আমি স্থানীয় গৌরিচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ মুহূর্তে বিয়ে নয় বরং পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আমার বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি মিলে তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে জিনে ধরেছে এমন অভিযোগ এনে গ্রাম্য এক ওঝা ডেকে ঝাড়-ফুঁকের নামে মারধর করেন তারা।’
তানজিলা আরো জানায়, এর আগেও একাধিকবার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাবা-মা। তখন বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছিলাম বিধায় বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
বরগুনা থানার ওসি রিয়াজ হোসেন জানান, তানজিলার করা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় বাবা মো: জাহাঙ্গীর খান, মা মোসা: হেলেনা, বোন জেসমিন, ভগ্নিপতি মো: মিলন ও গ্রাম্য ওঝা মোসা: সালমাকে আসামি করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বতার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বোন জেসমিন ও ভগ্নিপতি মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদনা: জপ / বরিশাল ডেস্ক |