| বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারে ভোলার ৫০ গ্রাম প্লাবিত ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ৫০টি গ্রাম তলিয়েগেছে। মঙ্গলবার মেঘনা নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। এই পানির উচ্চতা বিগত ১৫ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তরা।
পূর্ণিমার প্রবাবে ফুসে ওঠা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া ওইসব গ্রামের বসতঘর রাস্তাঘাট, স্কুল, পুকুর, ফসলের ক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ।
নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জেলার ২৫০ কিলোমিটার বাঁধ। অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার বাঁধ। এসব জায়গা যেকোনো সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্লাবিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের কালাতীর্তি, কালাসুরা, হেতমারহাট, রামদাসপুর, পূর্ব ইলিশা, মাঝের চর, দৌলতখানের হাজিপুর, সৈয়দপুর, মেদুয়া, মদনপুর, নেয়ামতপুর, বোরহানউদ্দিনের বড়মানিকা, তজুমদ্দিনের চরজহির উদ্দিন, মলংচড়া, মনপুরারা উত্তর সাকুচিয়া, দক্ষিণ সাকুচিয়া, হাজিহাট, মনপুরা, লালমোহন উপজেলার চর কচুয়াখালী, লর্ডহাডিঞ্জ ও চরফ্যাশন উপজেলার কুকরী মুকরী, ঢালচর, জাহানপুর, মাদ্রাজ, নজরুল নগর, চর পাতিলা ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ পানি থেকে বাঁচতে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
চর কুকরী-মুকরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, সর্বোচ্চ জোয়ার বইছে। এতে পুরো এলাকার এক তৃতীয়াংশ ডুবে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৩ শতাধিক পরিবার।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, তার ইউনিয়নের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
ইলিশার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, জোয়ারে পানিতে রাজাপুর গুচ্ছগ্রাম, পূর্ব ইলিশা, কালুপুর, মুরাদ শফিউল্ল্যাহ, তালতলি, আদর্শ গ্রাম ডুবে গেছে। এতে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম জানান, মেঘনায় পানি বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বেড়িবাঁধ। গত ১৫ বছরে এ ধরনের উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়নি।
সম্পাদনা: জপ / বরিশাল ডেস্ক | |