Current Bangladesh Time
মঙ্গলবার এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
Barisal News
Latest News
প্রচ্ছদ » পটুয়াখালী, পটুয়াখালী সদর » ৩৮কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১০ জন
৫ অক্টোবর ২০১৫ সোমবার ৫:৪৩:০৪ অপরাহ্ন
Print this E-mail this

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর

৩৮কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১০ জন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি


patuakhali-news-map পটুয়াখালী সংবাদ মানচিত্রপটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কার্যালয়ে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার কর্মকর্তার মঞ্জুরীকৃত ৩৮ টি পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১০ জন। এদিকে ফসল উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ সহায়তা. পর্যবেক্ষনে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার ২২৪ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১৫০ জন। ৭৪ টি পদই শূন্য রয়েছে।
এদিকে শূন্যপদ পূরনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন করা হলেও নতুন করে কর্মকর্তা  নিয়োগ হচ্ছেনা। ফলে আবাদি জমির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যবেক্ষন করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি নির্ভর জেলা পটুয়াখালীর কৃষকরা তাঁদের সমস্য সমাধানের কাঙ্খিত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

 

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর কার্যালয় তথ্যে  জানা যায়, অধিদপ্তরের আওতায় বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার কর্মকর্তার মঞ্জুরীকৃত ৩৮ টি। এর মধ্যে উপ-পরিচালক পদে কর্মরত কর্মরত থাকলেও জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা. অতিরিক্ত উপরিচালক (শস্য). অতিরিক্ত উপরিচালক (উদ্ভিদ). অতিরিক্ত উপরিচালক (উদ্যান) এই চারটি পদ শূন্য রয়েছে।
এদিকে জেলার আট উপজেলায় আট জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত থাকলেও অতিরিক্ষ কৃষি কর্মকর্তার আটটি পদই শূণ্য রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তার ১৬ টি পদের মধ্যে একজন কর্মরত আছেন. বাকি ১৫ টি পদই শূণ্য। এছাড়াও কৃষি প্রকৌশলীর পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে ।

 

অপরদিকে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার ২২৪ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১৫০ জন। ৭৪ টি পদই শূন্য রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পদ শূন্য থাকারসহ অধিদপ্তর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মোট ৩৬৯ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২৩৬ জন ।  শূন্য রয়েছে ১৩৩ টি।

 

অধিদপ্তর কার্যালয় জানায়. জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান রয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর। চলতি মৌসুমে আমানের আবাদের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে  ২ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমি। জেলায় কৃষক পরিবার রয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ২২৫ জন।  জেলার কৃষকদের মধ্যে রাসায়নিক সারের সঠিক ভাবে বন্ঠন. আবাদি জমির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যবেক্ষনসহ মৌসুমে আমন ফসল রক্ষনাবেক্ষনে সার্বক্ষনিক মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার চালিয়ে যেতে নানাভাবে সমস্যায় পরতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।

 

কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিরপুর গ্রামের কৃষক মোসলেম ফরাজী জানান. এলাকার বাঁধ ভেঙে জোয়ারের প্লাবনে তলিয়ে যায় তাঁদের ফসলের ক্ষেত। বীজতলা পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা। এই অবস্থায় পরামর্শ নিতে কৃষকদেরই ছুটতে হচ্ছে উপজেলা শহরে।

 

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান  বলেন. উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে এবং পৌরসভায় একজন করে মোট ৩৮ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১২ জন। ২৬ টি পদ শূন্য রয়েছে।
তিনি আরো বলেন. এমনিতেই উপকূলীয় কলাপাড়া উপজেলা  দুর্যোগ প্রবন এলাকা। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তার ২৬ টি পদ শূণ্য থাকায় কৃষকদের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও নজিরপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে জোয়ারের প্লাবনে কৃষি জমি প্লাবিত  হয়েছে। প্লাবন থেকে কৃষকদের রক্ষায় বাঁধমেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল মন্নান বলেন. উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ রয়েছে ৩৭ টি। কর্মরত আছেন ২৪  জন। শূন্য রয়েছে ১৩ টি পদ । একেক জন কর্মকর্তা তিন-চারটি বøকের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। এদিকে চরকাজল. চর বিশ্বাস ও গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী এলাকা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। এই অবস্থায় কৃষকদের কাছে পৌঁছতে সময় ব্যয়সহ  সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন. মাঠ পর্যায়ে ফসল উৎপাদনে তদারকি করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং এদের কাজের তদারকি করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা । এদর সকলের কাজের তদারকি করেন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। চলতি মৌসুমে জেলায় দুই লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষামাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে কিন্তু মাঠ পর্যায়ে নিবিড় পর্যবেক্ষনের জন্য জেলা ও উপজেলায়  বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার কর্মকর্তার ২৮ টি পদ শূন্য রয়েছে। এই অবস্থায় ফসল উৎপাদনে কৃষককে পরামর্ম সহায়তা ও নিবিড় পর্যবেক্ষন করা কঠিন হয়ে পরেছে।

 

তবে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক অশোক কুমার শর্মা বলেন. দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ন কর্মকর্তার পদসহ কর্মচারীদের পদও শূন্য রয়েছে। এই অবস্থায় সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পরেছে।
বিষয়টি মহা পরিচালক বরাবরে অবহিত করে প্রতি মাসে চিঠি দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে শূণ্য পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী  পদায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হুেচ্ছ।

সম্পাদনা: জপ / বরিশাল ডেস্ক

শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশালের ২ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ১২ প্রার্থী
সরকার সিন্ডিকেট মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে : আমু
প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় সোমবার
নববর্ষ বরণে দেশের সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’
বর্ষবরণ উৎসবে বোমা হামলা ছিল সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত: আমু
Recent: Mayor Hiron Barisal
Recent: Barisal B M College
Recent: Tender Terror
Kuakata News

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আমাদের বরিশাল ২০০৬-২০২০

প্রকাশক ও নির্বাহী সম্পাদক: মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু, সম্পাদক: রাহাত খান
৪৬১ আগরপুর রোড (নীচ তলা), বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, ই-মেইল: hello@amaderbarisal.com